আজ ভোরে গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। বিমান হামলার পর গাজার সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা হামলায় ধ্বসে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৫ জনের বেশি আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। আহতদের নুসাইরাতের আল-আউদা হাসপাতাল এবং দেইর আল-বালাহের শহীদ আল-আকসা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গাজার নুসাইরাতের আল-আউদা হাসপাতালের বরাতে জানা গেছে, নৃশংস এ হামলায় কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছে। আহত হয়েছে আরও শতাধিক। যাদের মধ্যে নারী শিশুও রয়েছে।
হামলায় টার্গেটকৃত বাড়িটি পুরোপুরি ধ্বসে গেছে। ফলে অনেক মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে। গাজার সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা জানিয়েছে, চাপা পড়া নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধান এখনও চলমান।
এদিকে উত্তর-পশ্চিম রাফার শরণার্থী শিবিরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে দখলদার ইসরায়েলের চালানো আরেকটি হামলায় দুই ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন । অন্যদিকে, গাজার দক্ষিণে অবস্থিত জেইতুন এলাকায় এক রাতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
উল্ল্যেখ্য, চলমান গাজা যুদ্ধে আমেরিকার মদদপুষ্ট ইসরায়েলের চালানো গণহত্যায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী। এছাড়াও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। সেইসাথে, গাজার অবস্থা দিনদিন ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ও চরম দুর্ভিক্ষের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সকল উদ্বেগ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজায় এখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের গণহত্যা প্রতিরোধ ও মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির আদেশও ইসরায়েল বিন্দুমাত্র গ্রাহ্য করছেনা।
সূত্র: আল জাজিরা ও আনাদোলো এজেন্সি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link