দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি পুনরায় শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিনের জটিলতা কাটিয়ে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চারটি ট্রাকে ১২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিলি বন্দরে প্রবেশ করে। এই আমদানির মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম শিগগিরই কমতে শুরু করবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে ভারত সরকার সম্প্রতি রপ্তানি শুল্ক কমিয়ে ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। সেই সঙ্গে প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৫৫০ ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলারে নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও তাদের কাস্টমস সার্ভারে এই পরিবর্তন যুক্ত না হওয়ায় গত কয়েকদিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জটিলতা দূর হওয়ার পর পেঁয়াজ আমদানি পুনরায় শুরু হয়।
আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ‘ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে রপ্তানিতে শুল্ক ও মূল্য হ্রাস করা হয়েছে। তবে কাস্টমস সার্ভারে পুরনো তথ্য থাকার কারণে কিছুদিন আমদানি সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সেই সমস্যা সমাধান হয়েছে। ফলে নতুন শর্ত অনুযায়ী আমদানি শুরু হয়েছে। এতে আমদানির খরচ কিছুটা কমেছে, যার প্রভাব দেশের বাজারেও পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখে। পরবর্তীতে মার্চ মাসে দ্বিতীয় দফায় অনির্দিষ্টকালের জন্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। যা চলতি বছরের ৪ মে শর্তসাপেক্ষে তুলে নেওয়া হয়। তখন রপ্তানির জন্য ৪০ শতাংশ শুল্ক এবং প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম মূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করা হয়। এই পরিবর্তনের ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
হিলি বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, নিয়মিত পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজারের অস্থিরতা অনেকটাই কমে আসবে বলে আশা করা যায়।