কর্ডলেস যোগাযোগ ডিভাইস ‘পেজারে’ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লেবাননে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যে। সমালোচনা হয়েছে জাতিসংঘেও।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেন, লেবাননের বর্তমান অস্থির প্রেক্ষাপটে ঘটা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো খুবই উদ্বেগজনক। লেবাননের বর্তমান পরিস্থিতি গভীর পর্যবেক্ষণ করছে জাতিসংঘ। এছাড়াও নৃশংস এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় বিবৃতি প্রকাশ করেছে সিরিয়া, ইরান ও মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাই। লেবাননে ইসরায়েলের এই হামলা, তাদের সংঘাতের পরিধি বৃদ্ধির ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে।
অপরদিকে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, মিশর লেবাননের নিরাপত্তা এবং আভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার প্রতি জোর দেয়। এবং দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে এমন কোন বহিরাগত আক্রমণ সমর্থন করে না।
এদিকে হামলার পরপরই তাদের মিত্রদের সাথে ফোনালাপে এই হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।
এছাড়াও ইসরায়েলের নৃশংস এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য স্বাধীনতাকামী সংগঠন। হামলার নিন্দা জানিয়ে হামাস এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া এক বার্তায় বলেছে, লেবাননে ইসরায়েলের এই সন্ত্রাসী অভিযান উক্ত অঞ্চলে দখলদার ইসরায়েলের ঔদ্ধত্বপূর্ণ আগ্রাসী নীতির পরিচয় বহন করে। অন্যদিকে আরো কঠিন ভাষায় হামলার নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী আরেকটি সংগঠন ইসলামিক জিহাদ। লেবাননে ইসরায়েলের এই হামলাকে সরাসরি যুদ্ধাপরাধ বলে সাব্যস্ত করেছে ইসলামিক জিহাদ ।
সূত্র: আলজাজিরা