ইসরায়েল এবং হামাসের চলমান সংঘাতের মধ্যেই ইসরায়েল একটি নতুন প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছে। হামাস প্রধান ইয়াহইয়া সিনওয়ার ও তার সঙ্গীদের গাজা থেকে নিরাপদ প্রস্থানের বিনিময়ে হামাসের হাতে থাকা সকল ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
ইসরায়েলি রেডিও ‘কান রেশেট বেট’ এর বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েল তাদের নতুন প্রস্তাবটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জমা দিয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজার মধ্যে বন্দি থাকা সকল ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দিতে হবে। বিনিময়ে হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং তার সঙ্গীরা গাজা থেকে নিরাপদে প্রস্থান করবেন। এছাড়া, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং একটি নতুন শাসনব্যবস্থা প্রণয়নের প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইসরায়েলের বন্দি সমন্বয়কারী গাল হির্শ ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং এই প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের অবহিত করে বলেন, গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজ ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে তার আলোচনায় একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিরাপদ করিডোর চুক্তি’। ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মতে, সিনওয়ার যদি গাজা ত্যাগ করেন, তাহলে ফিলিস্তিনে যুদ্ধের অবসান ঘটানো সম্ভব হবে।
বন্দি পরিবারের সদস্যরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছেন এই প্রস্তাব নিয়ে তিনি যাতে জাতিসংঘের অধিবেশনে তার বক্তব্য স্পষ্ট করেন। তারা নেতানিয়াহুর নতুন প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এটিকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বৃদ্ধির সুযোগ হিসেবে দেখছেন।
ইসরায়েল এর আগেও হামাস নেতাদের গাজা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু সেই প্রস্তাবগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়নি এবং নানাদিক বিবেচনায় সেগুলোর গুরুত্বও কম ছিল।
হামাসের প্রতিক্রিয়া
হামাসের নেতা জিহাদ তহা এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, হামাস আগের চুক্তির প্রতিই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, তাদের নতুন এমন কোনো চুক্তির প্রয়োজন নেই যা দখলদারদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে আরও শক্তিশালী করবে। অন্যদিকে, হামাসের আরেক নেতা ওসামা হামদান বলেন, তারা তাদের ভূমি মুক্ত করার জন্য সংগ্রাম করছেন, পালিয়ে যাওয়ার জন্য নয়।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের একটি সমাধান খুঁজতে ইসরায়েল নতুন প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছে, তবে হামাস এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাসের মতে, এই প্রস্তাব ইসরায়েলের অপরাধমূলক কার্যক্রমকে বৈধতা দিতে পারে, যা তারা মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। ফলে, দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা এখনো অমীমাংসিত রয়েছে।
সূত্র : আল আরাবি আল জাদিদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link