নিউজনেস্ট

কেমন হতে পারে পেজার হামলা পরবর্তী ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের দৃশ্যপট

কেমন হতে পারে পেজার হামলা পরবর্তী ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের দৃশ্যপট। ছবি : নূন পোস্ট

সম্প্রতি ইসরায়েল কর্তৃক লেবাননে পেজার হামলার পর ইসরায়েল হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা শতভাগের কাছাকাছি। সম্ভাব্য এই যুদ্ধে হিজবুল্লাহ মুখোমুখি হবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ সামরিক শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ইসরায়েলের। ফলে সামরিক বিশেষজ্ঞদের মাঝে হিজবুল্লাহর উপর ইসরায়েলের সম্ভাব্য আক্রমণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিস্তর। তবে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞই সাম্ভাব্য ৪টি পদ্ধতির কথা বলছেন।

স্থল এবং আকাশ জুড়ে বড় ধরণের সামরিক অভিযান

সাম্ভাব্য ফলাফল: এধরণের অপারেশন চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর অবকাঠামো নির্মূলে বড় রকমের সফলতা অর্জন করতে পারে। তবে গাজা যুদ্ধে ক্লান্ত সেনাবাহিনী এবং বিরাট সামরিক ব্যয় এক্ষেত্রে ইসরায়েলের জন্য একটি মারত্মক চ্যালেঞ্জের বিষয় হবে। অপর দিকে হিজবুল্লাহ একটি সশস্ত্র সংগঠন হলেও লেবাননের অভ্যন্তরে যে কোন স্থল আক্রমণ মোকাবেলায় তাদের যথেষ্ট উন্নত প্রযুক্তি এবং দক্ষতা রয়েছে।

সীমিত পরিসরে শধুমাত্র ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তীব্র বিমান         হামলা

সাম্ভাব্য ফলাফল: এধরণের হামলায় ইসরায়েল হিজবুল্লাহর সামরিক শক্তি ও কৌশলগত অবকাঠামোর ক্ষতিসাধন করার পাশাপাশি হিজবুল্লাহর বাহিনীকে লেবাননের লিটানি নদী পেরিয়েএকটি বাফার জোনে সীমাবদ্ধ হতে বাধ্য করবে।কিন্তু এই আক্রমণের সফলতা ব্যর্থতা নির্ভর করে, হিজবুল্লাহ কতটুকু এবং কিভাবে হামলা মোকাবিলা করবে তার উপর।

একটি যৌথ সামরিক অভিযান পরিচালনা করা

সাম্ভাব্য ফলাফল: এরকম অপারেশনে সবসময়ের মতো প্রথমে প্রতিপক্ষের সরবরাহ লাইনে বিমান হামলা চালানো হতে পারে। এরপর গাজার মতোই ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে একটি বাফার জোন তৈরির লক্ষ্যে স্থল অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে। কিন্তু এধরণের অভিযান ইসরায়েলের জন্য আত্মঘাতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষ করে স্থল অভিযানের ক্ষেত্রে এ আশঙ্কা অনেক বেশি।

লেবানন এবং সিরিয়ার কিছু অংশকে লক্ষ্য করে একটি ব্যপক সামরিক অভিযান পরিচালনা করা

সাম্ভাব্য ফলাফল: ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এধরণের হামলা করা হলে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতা, সিরিয়ায় হিজবুল্লাহর সাপ্লাই চেইন এবং সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের বিপ্লবী গার্ড ও তার সহযোগী দলগুলো আক্রান্ত হতে পারে। তবে কৌশলগত দিক থেকে সম্ভাব্য এই হামলা ইসরায়েলের জন্য আত্মঘাতি হবে। কারণ, এধরণের হামলায় ইসরায়েলের সামরিক শক্তি এবং যুদ্ধক্ষেত্র অবধারিত ভাবে দুটোই বৃহৎ পরিসরে প্রসারিত হয়ে যাবে। বলাবাহুল্য, এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে ইসরায়েলকে ইরান বা হিযবুল্লাহ কেউই ছাড় দিবেনা।

কোন পদ্ধতিকে অনুসরণ করবে ইসরায়েল?

কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল উল্লেখিত ৪টি পদ্ধতির কোন পদ্ধতিকে প্রাধান্য দিয়ে ইসরায়েল লেবাননে আক্রমণ করতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞ মনে করেন ইসরায়েল লেবাননে দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে। কারণ, এটিই সবচেয়ে কম ক্ষতিকারক। অন্যদিকে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধে হিজবুল্লাহর প্রবল প্রতিরোধ দেখা গেলে ইসরায়েল একইসাথে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত