আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ায় প্রশাসনে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পূর্বের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অনেক কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় পদোন্নতি দেওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ। তাই বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত ৮ই আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে পদোন্নতি ও পদায়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু করছেন।
প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যারা সুবিধা পেয়েছেন, তাদের অনেকেই নতুন সরকারের প্রতি সহায়তা করছেন না। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রমে ধীরগতি এবং অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন ।
এ বিষয়ে সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান উল্লেখ করেন, জনপ্রশাসনে জনবল পিরামিডের মতো হওয়া উচিত। যেখানে উপরের স্তরে কম এবং নিচের স্তরে বেশি কর্মী থাকবে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি উল্টো, যেখানে অতিরিক্ত সচিবের সংখ্যা ৫৪৬জন এবং যুগ্মসচিবের সংখ্যা ১১৪৭ জন, যা অনুমোদিত পদের দ্বিগুণ।
অন্তর্বর্তী সরকার কিছু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে এবং বেশ কয়েকজন সচিবকে অবসরে পাঠিয়েছে। তবে প্রশাসনের ভারসাম্যহীনতার কারণে সরকারি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। ফলে তা দেশের শাসন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এখনও পর্যন্ত ক্ষমতা বদলের দেড় মাস পরেও প্রশাসনে এই অস্থিরতা দেখা যাওয়ায় সরকারের জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
