শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছেন ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের নেতা ও মার্ক্সবাদী রাজনীতিক অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। দ্বিতীয় দফার ভোট গণনার পর ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহেকে পরাজিত করে তিনি শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, ৫৫ বছর বয়সী দিশানায়েকে ৪২.৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। বিপরীতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ প্রেমাদাসা ৩২.৭৬ শতাংশ এবং রণিল বিক্রমাসিংহ পেয়েছেন মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট।
দিশানায়েকের বিজয় শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতার হস্তান্তর নয়; বরং শ্রীলঙ্কার জনগণের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের প্রতিফলন। বিশেষ করে ২০২২ সালের অর্থনৈতিক সংকটের সময় শুরু হওয়া বিক্ষোভের জের ধরে এই পরিবর্তন এসেছে।
অনুরা দিশানায়েকে প্রচলিত রাজনীতির বাইরে একজন নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার নেতৃত্বে এনপিপি শিগগিরই নতুন সংসদীয় নির্বাচনের আহ্বান জানাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে তার নেওয়া নীতিমালা বাস্তবায়ন করা এবং আইএমএফের ঋণের শর্ত মানিয়ে নেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
গ্রামীণ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া এবং ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত দিশানায়েকে নির্বাচনী ইশতেহারে একটি দুর্নীতিমুক্ত শ্রীলঙ্কা এবং দেসজ শাসনে জনবান্ধব নীতির গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, তিনি কিভাবে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করবেন এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কতটা সফল হবেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স