নিউজনেস্ট

গাজার পর এবার লেবানন, উত্তেজনার পারদ বাড়ছে ক্রমশ

গাজা লেবাননে বাড়ছে যুদ্ধের বারুদ
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের একটি চিত্র। ছবি: এএফপি।

গাজা এবং লেবাননের যুদ্ধ ফ্রন্টের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ক্রমশ। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের মধ্যে লেবাননের চলমান সংঘাত আরও নতুন মাত্রা পেয়েছে। একই সাথে লেবাননে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও পাওয়া যাচ্ছে বড় ধরনের সামরিক উত্তেজনার আভাস।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অভিযান আজ ৩৫৩তম দিনে পৌঁছেছে। দীর্ঘ এই সংঘাতের ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলি বাহিনী গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে গণহত্যা চালিয়েছে। ফলে ২৩জন নিরীহ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলের এই বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো পাল্টা আক্রমণে সক্রিয় রয়েছে।

হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড ঘোষণা করেছে, তারা দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর একটি মারকাভা ট্যাংক এবং একটি সামরিক বুলডোজারকে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এছাড়া রাফা শহরে তারা ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনীর ওপর একটি বোমা হামলা চালিয়েছে যা ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর সাম্প্রতিক সময়ের বড় একটি আঘাত হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী শুধুমাত্র গাজাতেই নয়, পশ্চিম তীরেও তাদের পীড়নমূলক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। রাতের বেলায় তারা পশ্চিম তীরের শহর ও গ্রামগুলোতে ঢুকে ব্যাপক তল্লাশি, ধরপাকড় ও সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে যাচ্ছে প্রতিদিন। বলা বাহুল্য, ইসরায়েল এই অভিযানগুলোর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার এবং চলমান প্রতিরোধ আন্দোলনকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে।

অপরদিকে লেবানন ফ্রন্টেও উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি হিজবুল্লাহর উপমহাসচিব নাইম কাসেম ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে হিজবুল্লাহ নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে না। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন এই সংঘাত নতুন একটি ধাপে প্রবেশ করেছে। যাকে তিনি ‘হিসাবুল মাফতুহ তথা হিসাবের লড়াই’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এই বক্তব্যের মাধ্যমে হিজবুল্লাহ ইঙ্গিত দিয়েছে তারা ইসরায়েলের যেকোন আক্রমণের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, গাজা ও লেবাননের ফ্রন্টে চলমান এই উত্তেজনা শুধু আঞ্চলিকভাবেই নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংঘাত যদি আরও বাড়তে থাকে, তবে তা পুরো অঞ্চলে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর সামরিক অভিযান এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর প্রতিক্রিয়া মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ রাজনীতি এবং নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত