গত ২০শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সাজানো চুরির ঘটনায় মো: মামুন (৩০) নামের এক যুবককে হত্যা করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। এবং পরবর্তীতে এ ঘটনার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে নৃশংস হামলা চালায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। পরবর্তীতে এই হামলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম।
অন্যদিকে অপরাধীদের কিছু মদদদাতা এবং ভারতীয় মিডিয়া উক্ত পরিস্থিতিতে উদ্ভট ও উসকানিমূলক সংবাদ প্রচার করে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলে। সম্প্রতি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইউনাইটেড ইয়ুথ মুভমেন্ট বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা ইউনাইটেড ইয়ুথ মুভমেন্ট বাংলাদেশ স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সমতলের মানুষ যেমন বাংলাদেশের নাগরিক, পাহাড়ের মানুষও তেমনই বাংলাদেশের নাগরিক। সমতল যেমন বাংলাদেশের অংশ, তেমনই পাহাড়ও বাংলাদেশের অংশ। বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। যার সীমানা নির্ধারিত। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে তোয়াক্কা না করে পাহাড়ে থাকা সন্ত্রাসীদের প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের পাহাড়ে অতীতেও বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। যার ফলে আমাদের সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনীসহ বহু দেশপ্রেমিক জনগণ প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু নতুন করে এ ধরনের কোনো ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতা কখনও মেনে নেবে না। আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং দেশের বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে আহ্বান জানাই, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। অন্যথায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব চরম বিপদের মুখে পড়বে।’
উল্লেখ্য, ইউনাইটেড ইয়ুথ মুভমেন্ট বাংলাদেশ অধিকারের পক্ষে কথা বলা একটি সামাজিক যুব সংগঠন। যারা পৃথিবীব্যাপী অধিকার বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কথা বলে। সম্প্রতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বলে মানুষের মাঝে সারা ফেলেছে এই সংগঠন।