সম্প্রতি সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে সরকারি বাহিনীর রকেট ও গোলাবর্ষণে ৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। গতকাল সন্ধ্যায় ইদলিবের কাফরিয়া শহরে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘হোয়াইট হেলমেটস’ নামে পরিচিত সিরিয়ার সিভিল ডিফেন্স।
সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নিহতদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ পুরুষ এবং একজন নারী রয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬ জন শিশু ও ৩ জন নারী রয়েছেন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় শহর জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে ইদলিব প্রদেশের পূর্বে অবস্থিত সারমিন শহরেও সরকারি বাহিনীর হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। এর আগে গত শুক্রবার ইদলিবের তাফতানাজ শহরে সরকারি বাহিনীর আরেকটি হামলায় ২ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হন।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার সিভিল ডিফেন্সের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের শুরু থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিরীয় সরকারি বাহিনী, রাশিয়া এবং কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ) ৬৫০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৫ জন শিশু এবং ৬ জন নারী। এছাড়া ২৪৫ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৯৯ জন শিশু ও ২৯ জন নারী।
এদিকে যদিও ২০১৮ সালে তুরস্ক ও রাশিয়া ইদলিবে যুদ্ধ বিরতি জোরদারের জন্য একটি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে সিরীয় সরকার ওই অঞ্চলে হামলা বৃদ্ধি করে। পরে ২০২০ সালের মে মাসে তুরস্ক ও রাশিয়া পুনরায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায়। তবে সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্ররা নিয়মিতভাবে এই চুক্তি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।
সূত্র: আলজাজিরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link