মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তপ্ত পরিস্থিতি নতুন এক মাত্রায় গিয়ে ঠেকেছে। সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার মেজর জেনারেল ওরি গোরদিন জানিয়েছেন, লেবাননের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এক নতুন ধাপে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। তাই লেবাননের অভ্যন্তরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে স্থল অভিযানের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
এদিকে মার্কিন ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসের বরাতে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের বিপক্ষে। মার্কিন কর্মকর্তারা এটিকে সরাসরি ‘যুদ্ধ’ হিসেবে উল্লেখ না করলেও, এ সংঘাতের ভয়াবহতা সম্পর্কে তাঁরা সচেতন।
বাইডেন প্রশাসনের মূল লক্ষ্য হলো ইসরায়েলের স্থল আক্রমণ প্রতিহত করা এবং ইরানকে যুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ থেকে বিরত রাখা।
সূত্র মতে লেবাননে ইতোমধ্যে ৭শ’রও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। যা এক ভয়াবহ যুদ্ধের ইঙ্গিত বহন করছে।
ইরানের ভূমিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল
মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ইরান এ মুহূর্তে লেবাননের যুদ্ধে সরাসরি জড়িত হওয়া নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই পশ্চিমা এবং আরব দেশগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ২১ দিনের জন্য একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা অর্জনের প্রচেষ্টা চলছে।
লেবাননের হুঁশিয়ারি
অন্যদিকে লেবাননের জনপরিবহন ও সড়ক মন্ত্রী আলি হামিয়ে এক বার্তায় ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর কোনো স্থল অভিযানের চেষ্টাই ‘সহজ হবে না।’ তিনি বলেন, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে লেবাননের বেসামরিক জনগণ এবং আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে। যা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আলি হামিয়ে আরও অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এক অনন্য নীরবতা বিরাজ করছে।
পরিশেষে, মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানকল্পে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশ সংঘাতের অবসান এবং রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, যদি স্থল আক্রমণ শুরু হয়, তবে তা কেবল ইসরায়েল-লেবানন সম্পর্কেই নয়, পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতায় গভীর প্রভাব ফেলবে।
সূত্র: আলজাজিরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link