গতকাল ১লা অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানিয়েছে, গত জুলাই মাসের শেষে ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাসের প্রয়াত নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং গত সপ্তাহে বৈরুতের দক্ষিণে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হয়। ইরান মূলত এই দুই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধের পাশাপাশি, গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলার জবাবে এই হামলা চালায়।
ইরান জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর অধিকাংশ তেলআবিবের কাছাকাছি ইসরায়েলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানে। এছাড়া ইসরায়েলের বিমান ঘাঁটি, রাডার স্টেশন এবং প্রতিরোধ সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা করা ইসরায়েলের কেন্দ্রগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
অন্যদিকে ইসরায়েলের স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের গোলাবারুদ স্থাপনাগুলো এবং গাজা সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলি বসতিগুলোতে আঘাত হানে। ইসয়ারায়েলের আসকালান শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায়ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত করেছে। এছাড়াও গাজার উপকূলে অবস্থিত ইসরায়েলের সামুদ্রিক গ্যাস স্টেশন এবং নেটজারিম এলাকা, -যা গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে আলাদা করে- সেখানে আক্রমণ করা হয়।
এদিকে ফিলিস্তিনের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র গাজার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে আঘাত হানে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি নিশ্চিত করেছেন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে সরাসরি আঘাত করেছে। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো গেলেও, প্রায় ৯০% নির্দিষ্ট স্থানে আঘাত হেনে ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
সেই সাথে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, ইসরায়েল এই হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেবে এবং তাদের প্রতিক্রিয়া আগের চেয়ে ভিন্ন হবে।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড জানায়, যদি ইসরায়েল পাল্টা আক্রমণ করে, তবে আরও শক্তিশালী ও বিধ্বংসী হামলা তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। একই সুরে ইরানের জাতিসংঘ মিশন থেকেও জানানো হয়, ইসরায়েল যদি আরেকটি অপরাধমূলক কাজ করে, তাহলে আমাদের পরবর্তী জবাব হবে সম্পূর্ণ ধ্বংসাত্মক।
মোটকথা ইরানের হামলা এবং ইসরায়েলের পাল্টা হুমকি দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতকে আরও তীব্র করে তুলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে এই সংঘাত আরও বড় আকারের সংঘাতের দিকে যেতে পারে।
সূত্র: আল আরাবি জাদিদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link