নিউজনেস্ট

ইসরাইলের উপর হিজবুল্লাহর উপুর্যপুরি হামলা

ইসরাইলের ওপর হিজবুল্লাহর উপুর্যপুরি হামলা
হিজবুল্লাহর হামলায় কেঁপে উঠলো ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

গতকাল ১লা অক্টোবর ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধকে সমর্থন ও লেবাননকে রক্ষার লক্ষ্যে হিজবুল্লাহ, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে উত্তর দখলকৃত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি সেনাদের ঘাঁটি এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একাধিক সফল অভিযান পরিচালনা করে। হামলার বিস্তারিত নিম্নরূপ:

১. শাটোলা এলাকার প্রবেশদ্বারে ইসরায়েলের একটি বাহিনীকে হিজবুল্লাহর ছোঁড়া কামানের গোলা সরাসরি আঘাত করে।

২. সকাল ৭:৪০ | মেতুল্লা এলাকার কাছে ইসরায়েলি সেনাদের একটি দলকে কামানের গোলায় টার্গেট করে সরাসরি আঘাত করা হয়।

৩. সকাল ৮:০৫ | মেতুল্লা বসতিতে জড়ো হওয়া ইসরায়েলি সেনাদের উপর অনেকগুলো রকেট নিক্ষেপ করা হয়।

৪. সকাল ৮:৫৫ | আফিফিম এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের জড়ো হওয়া স্থানে কামানের গোলা নিক্ষেপ করে তদের আঘাত করা হয়।

৫. সকাল ১০:০০ | ইসরায়েলের লেবাননের নগর ও গ্রামের ওপর হামলার প্রতিশোধ হিসেবে রুশপিনা বসতির কাছে জড়ো হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর উপর অনেকগুলো রকেট নিক্ষেপ করা হয়।  

৬. সকাল ১০:৩০ | ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের ডোভিভ সামরিক ঘাঁটির কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর ‘ফালাক-২’ রকেট নিক্ষেপ করা হয়।

৭. হিজবুল্লাহর ‘খাইবার’ অভিযানের অংশ হিসেবে এবং লেবাননের বেসামরিকদের ওপর ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিশোধ নিতে ‘লাব্বাইক ইয়া নাসরুল্লাহ’ স্লোগানে হিজবুল্লাহ তেলআবিবের উপকণ্ঠে গিলাত ঘাঁটিতে -যা ইসরায়েলি গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০ ও মোসাদের কেন্দ্র- ‘ফাদি-৪’ রকেট নিক্ষেপ করে।

৮. সকাল ১১:৪৫ | কাফরশুবা পাহাড়ে রামথা ও সাম্মাকা এলাকায় জড়ো হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর ৩২টি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করা হয়।

৯. দুপুর ১:৪০ | মেতুল্লা বসতিতে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর কামানের গোলা নিক্ষেপ করে সরাসরি আঘাত করা হয়।

১০. একই সময়ে কাফর গিলাদ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি দলকে লক্ষ্য করে কাতিউশা রকেট ছোঁড়া হয়।

১১. খাইবার অভিযানের অংশ হিসেবে এবং বেসামরিকদের উপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলের সেদ ডোভ বিমান ঘাঁটিতে ‘ফাদি-৪’ রকেট নিক্ষেপ করা হয়।

১২. বিকাল ৫:৩৫ | সামুদ্রিক এলাকা রাশনাকুরার পূর্বে জড়ো হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর উপর অনেকগুলো রকেট নিক্ষেপ করা হয়।

১৩. বিকাল ৫:৫৩ | ইসরায়েলের নগর ও গ্রামে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের ইলানিয়া ঘাঁটিতে রকেটের গুচ্ছ নিক্ষেপ করে সরাসরি আঘাত করা হয়।

১৪. বিকাল ৬:৫৫ | দখলকৃত বেতস এলাকায় জড়ো হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর উপর কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করা হয়।

১৫. রাত ৮:০০ | মেতুল্লা এলাকার কাছে জড়ো হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর অনেকগুলো রকেট নিক্ষেপ করা হয়।

১৬. রাত ৯:৫০ | বাইত হালিল এলাকায় অবস্থিত ইসরায়েলি আর্টিলারি প্লাটুনকে টার্গেট করে ছোঁড়া রকেট সরাসরি আঘাত করে।

উল্লেখ্য, হিজবুল্লাহর এই সব হামলা ছিল লেবাননের নাগরিক ও হিজবুল্লাহর সামরিক স্থাপনার ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিশোধ। হিজবুল্লাহ এই অভিযানগুলোকে ‘খাইবার’ নাম দিয়েছে। যা লেবাননের জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত