তারিখ প্রদর্শন
লোগো

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শহিদ হয়েছেন, যিনি ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার প্রতীক আব্দুল আজিজ সালাহা। গাজা ভূখণ্ডের দেইর আল-বালাহ এলাকায় শরণার্থীদের একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়ার সময় তার উপর হামলা করা হয়। আব্দুল আজিজ সালাহা মূলত দ্বিতীয় ইন্তিফাদা চলাকালীন একটি ছবির মাধ্যমে সারা বিশ্বে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার প্রতীক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন।

সালাহার জীবনের প্রতিরোধের গল্প

২০০০ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় রামাল্লার একটি পুলিশ স্টেশনে ইসরায়েলি দুই সেনাকে হত্যা করেন সালাহা ও তার সহযোগীরা। এই ঘটনার পর রক্তমাখা হাত উঁচু করে তোলা তার একটি ছবি প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠে। যা তখন ফিলিস্তিনি সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি হিসেবে বিশ্বব্যাপী আলোচনার ঝর তোলে।

তবে এই ঘটনার পর ইসরায়েলি বাহিনী সালাহাকে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ২০১১ সালে ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল সরকার বহু ফিলিস্তিনিকে বন্দি মুক্তি প্রদান করে। ওফা আল-আহরার” চুক্তি নামে পরিচিত সেই বন্দী বিনিময়ে আব্দুল আজিজ সালাহাও মুক্তি লাভ করেন। মুক্তির পর সালাহকে গাজায় পুনর্বাসিত করা হয় এবং সেখানেই তিনি জীবনের শেষ দিনগুলো কাটান।

গাজায় অব্যাহত গণহত্যা

উল্লেখ্য গাজায় শুধুমাত্র সালাহই নয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে,  গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনী আরো ৮টি পরিবারের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। যেই গণহত্যায় ৯৯ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হওয়ার পাশাপাশি ১৬৯ জন আহত হন। এছাড়াও গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ৪১,৭৮৮ জন ফিলিস্তিনি শহিদ এবং ৯৬,৭৯৪ জন আহত হয়েছেন।

তবে আব্দুল আজিজ সালাহার মৃত্যু শুধুমাত্র মৃত্যু নয়। বরং এর মাধ্যমেই  ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ সংগ্রামের এক অনন্য অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। তার রক্তমাখা হাত উঁচু করে তোলা ছবিটি এখন শুধু সংগ্রামের ইতিহাস হয়ে থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *