নিউজনেস্ট

ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারীরা আগ্রাসনের অংশীদার: এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। ছবি : সংগৃহীত

গত (০৪ অক্টোবর) শুক্রুবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, গাজা ও লেবাননে গণহত্যা চালাতে পশ্চিমারা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করছে।

এরদোগান এসময় আরও বলেন, যারা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে তারা ফিলিস্তিনি ও লেবাননের জনগণের উপর চলমান আগ্রাসনে সমানভাবে অংশ নিচ্ছে।

তিনি বলেন, এমন কিছু লোক রয়েছে যারা পশ্চিমা সহায়তায় অব্যাহতভাবে আপন শৈশবে থাকা নিরপরাধ শিশুদের হত্যার ধারাকে উপভোগ করে।

তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ করার জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করে বলেন, যখনই এই অঞ্চলটি যুদ্ধবিরতি অর্জন এবং শান্তি প্ররতিষ্ঠার কাছাকাছি আসে। তখনই ইসরায়েল একটি উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে প্রক্রিয়াটিকে দুর্বল করে দেয়। অন্যথায় সংঘাতের তীব্রতা কমাতে তুরস্ক কোন প্রচেষ্টাই বাকী রাখেনি, কিন্তু ইসরায়েল সমস্ত মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করেছে।

উল্লেখ্য, এই বক্তব্যের বেশ কিছুদিন আগে এরদোগান যে দেশগুলি এখনও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি তাদের কাছে এটিকে স্বীকৃতি দিতে পুনরায় আহ্বান জানিয়েছিলেন।

তিনি সেইসময় জোর দিয়ে বলেছিলেন শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কার্যকর অনুপস্থিতির কারণে অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির অনেক গুরুত্ব রয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এই পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে লেবাননের জনগণ ও তাদের সরকারের পাশে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রায় এক বছর ধরে চলমান হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘর্ষের মধ্যে ইসরাইল লেবাননে সবচেয়ে সহিংস এবং ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে। যাতে হতাহত হয় হাজার মানুষ।

উল্লেখ্য গত ৮ অক্টোবর ২০২৩ থেকেই ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিশোধ হিসেবে লেবানন এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ দলগুলো—বিশেষ করে হিজবুল্লাহ, ইসরায়েলের উত্তর সীমান্ত জুড়ে ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনীর সাথে প্রতিদিন বোমা হামলা চালিয়ে আসছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত