ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ‘তুফানুল আকসা’ অভিযান পরবর্তী রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি ইসরায়েলি নাগরিকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত ‘কান’ চ্যানেলের জরিপে দেখা গেছে, ২০২৩ এর অক্টোবর থেকে ২০২৪ এর অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ২৩% ইসরায়েলি দেশত্যাগের কথা চিন্তা করেছেন। অপরদিকে ৬৭% ইসরায়েলি দেশত্যাগের বিষয়ে কোনো চিন্তা করেননি। বাকি ১০% উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোটের সমর্থকদের তুলনায় বিরোধী দলের মধ্যে দেশ ত্যাগের ইচ্ছা বেশী দেখা গেছে। যেখানে নেতানিয়াহুর সমর্থকদের মধ্যে ইসরায়েল ত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ১৪% লোক সেখানে ইসরায়েলের বিরোধী দলের সমর্থকদের মধ্যে দেশ ত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ৩৬% লোক। জরিপে আরও দেখা যায় ধর্মনিরপেক্ষ ইসরায়েলিরা ধর্মপ্রাণ ইহুদিদের তুলনায় দেশত্যাগে বেশি আগ্রহী।
উল্লেখিত এই জরীপের ফলাফল সম্পর্কে ইসরায়েলি নিউজ চ্যানেল ‘কান’ মন্তব্য করে বলেছে, ইসরায়েলে নেতিবাচক অভিবাসনের হার সাম্প্রতিক যুদ্ধের আগ থেকেই স্পষ্ট ছিল। কিন্তু যুদ্ধে দেশত্যাগীদের সংখ্যা নতুন অভিবাসীদের তুলনায় অনেক বেশি ছিল।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাসে প্রায় ৪০,০০০ ইসরায়েলি দেশত্যাগ করেছেন। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশী। অন্যদিকে ২০২৩ সালেও প্রায় ৫৫,৩০০ ইসরায়েলি দেশত্যাগ করেন, যা আবার ২০২২ সালের তুলনায় বেশী। ২০২২ সালের এই সংখ্যা ছিল ৩৮,০০০।
ইসরায়েলি নিউজ চ্যানেল ‘কান’ নেতিবাচক এই অভিবাসন প্রবণতাকে ইসরায়েলি সমাজের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করে এই অবনতিশীল পরিস্থিতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি