গতকাল ৮ই অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের মেজা এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত সাতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছে। সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সান’আ জানায়, সন্ধ্যা ৮টা ১৫ মিনিটে গোলান মালভূমির দিক থেকে ইসরায়েলি বাহিনী তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে।
সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সান’আ জানায়, হামলায় সাতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ভবনের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনেও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিতদের বের করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
পূর্বের আক্রমণ ও ইসরায়েলের নীরবতা
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দামেস্কসহ সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলের হামলা বেড়েই চলেছে। এর আগে গত বুধবার মেজা এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত হয়। মেজা এলাকায় একটি সামরিক বিমানবন্দর, কারাগার, নিরাপত্তা বাহিনীর অফিস এবং বেশ কয়েকটি দূতাবাস রয়েছে। এদিকে সিরিয়ার ইরানি দূতাবাস জানিয়েছে, এই আক্রমণে কোনো ইরানি নাগরিক হতাহত হয়নি।
হামলার পর নিউইয়র্ক টাইমসকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘এই বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’ সাধারণত ইসরায়েল তাদের হামলার দায় স্বীকার করে না, তবে তারা বারবার ইরানের সামরিক উপস্থিতি রুখে দেয়ার অযুহাত তুলে সিরিয়ায় আক্রমণ চালিয়ে থাকে।
এদিকে সিরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মেজা অঞ্চলের শেখ সাদের নিকটে একটি অ্যাপার্টমেন্টে এই হামলা চালানো হয়। এ সময় সিরিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশে শত্রু লক্ষ্যগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা করে। তবে বেশ কিছু স্থাপনা ও গাড়িতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে ভবনে ধ্বংসস্তুপ, অ্যাম্বুলেন্স এবং উদ্ধারকারী দলের কার্যক্রম দেখা গেছে।
সূত্র: আল জাজিরা ও অন্যান্য সংবাদ সংস্থা