রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১০ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রযোজ্য এবং নির্বাচিত সরকারের জন্য নয়। প্রস্তাবনায় উল্লেখিত বিষয়গুলোতে মূলত বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলার সংস্কারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জামায়াতের ১০ প্রস্তাবের প্রধান দিকগুলো হলো:
১. কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ীভাবে পুনঃস্থাপন করা।
২. ইভিএম বাতিল এবং আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন।
৩. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং অন্যান্য কালো আইন বাতিল করা।
৪. বিচার বিভাগকে কার্যকরভাবে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করা।
৫. পুলিশের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন এবং মারণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করা।
৬. সংসদে বিরোধীদলীয় ছায়া মন্ত্রিসভা গঠন এবং ডেপুটি স্পিকার মনোনীত করা।
৭. সরকারি চাকরিতে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে যোগ্যতা, দক্ষতা এবং সততার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া।
৮. দুর্নীতি দমনে স্বতন্ত্র দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ গ্রহণ।
৯. প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে পরপর দুই মেয়াদের বেশি থাকতে না পারার আইন প্রণয়ন।
১০. পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষার উদ্যোগ এবং শিক্ষায় কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষ অত্যাচারিত হয়েছে। এখন এই দেশ পুনর্গঠনের সময়। আমাদের প্রস্তাবগুলো সেই লক্ষ্যেই উত্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, প্রস্তাবগুলো সরকারের জন্য সহায়ক হবে, যদি সেগুলো গ্রহণ করা হয়।