সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তির জন্য চুক্তি না করলে সেনারা সামরিক কার্যক্রম অবসর নেওয়ার হুমকি দিয়ে নেতানিয়াহু সরকারের উদ্দ্যেশ্যে লেখা একটি প্রতিবাদমূলক চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ১৩০ সেনা-কর্মকর্তা। চিঠিতে লেখা ছিল, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই রেড লাইন ক্রস করেছে। সাম্প্রতিক এই ঘটনা ইসরায়েলি সরকারের জন্য নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে।
কোথায় এবং কীভাবে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে?
এই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে রয়েছে রিজার্ভ সৈন্য এবং আইডিএফের বিভিন্ন ইউনিট। যেমন, সাঁজোয়া যান, আর্টিলারি, অভ্যন্তরীণ ফ্রন্ট কমান্ড এবং বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্য। ইসরায়েলের সেনাদের বার্তাটি সরাসরি ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা ও সেনাবাহিনীর প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে। যা বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি তাদের গুরুতর উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
চিঠির গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি ও বক্তব্য
চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘এখন এটি স্পষ্ট যে, গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকার ফলে কেবল মুক্তিপ্রাপ্তদের ফেরা বিলম্বিত হচ্ছে না, বরং তাদের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। অনেক মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দি ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণে নিহত হয়েছে, যা সামরিক অভিযানে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির তুলনায় অনেক বেশি।’
সেনাদের সেই বার্তায় পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কারণে বন্দি ব্যক্তিদের মৃত্যু সংখ্যা অনেক বেশি, যা সামরিক অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া বন্দিদের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশী। এ অবস্থা সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং তারা মনে করছেন, এটি তাদের নৈতিক দায়িত্বের পরিপন্থী।
সংকটের গুরুত্ব এবং ইসরায়েলি সরকারের প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল ৯ই অক্টোবর প্রকাশিত এই চিঠি ইসরায়েলি সরকারের উপর বিশাল চাপ তৈরি করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনো এর কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে এটি স্পষ্ট যে, সামরিক বাহিনীর অংশ হিসেবে সেনাদের এ ধরনের হুমকি বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
উল্লেখ্য, বন্দি ও যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তা দেশের নিরাপত্তা ও সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
সূত্র: আল আরাবি