ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘মারিভ’ কায়রো ও তেলআবিবের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি মিশরের রাষ্ট্রদূত তেলআবিব ত্যাগ করার পর মিশরের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়নি নতুন কোন রাষ্ট্রদূত। অপরদিকে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে মিশরে অবস্থিত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি মিশরের পক্ষ থেকে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের কোন কাগজপত্রও গ্রহণ করা হয়নি।
রাজনৈতিক যোগাযোগ রক্ষায় সংকট
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, উভয় পক্ষের রাজনৈতিক সম্পর্কে চরম অবনতি হয়েছে। কারণ, মিশর-ইসরায়েল সরাসরি যোগাযোগমাধ্যম ঠিক থাকার পরও মিশর এখন তেলআবিবের কাছে কোন পত্র প্রেরণ করতে একাধিক মধ্যস্ততাকারীর উপর নির্ভর করছে। কায়রো মনে করে, গাজার ব্যাপারে ইসরায়েলের রাজনীতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। এমনকি কায়রোর অভিযোগ, তেলআবিবের এসব কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুধুমাত্র বন্দী আলোচনা সম্পৃক্ত। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য নয় ।
ফিলাডেলফিয়া (মিশর–গাজা সীমানা) করিডোর সংকট
এদিকে ইসরায়েল কর্তৃক মিশর-গাজা সীমান্ত সংলগ্ন ফিলাডেলফিয়া করিডোর দখলের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে মিশর ইসরায়েলের মধ্যকার আলোচনার পথ। মিশরের উপর ইসরায়েলের অভিযোগ, টানেল দিয়ে গোপনে চোরাচালানে মিশর অবহেলা করেছে। জবাবে মিশর বলছে, গাজায় ইসরায়েলের দীর্ঘ অবরোধের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে কূটনৈতিক আলোচনার ব্যাপারে কায়রো এ উপসংহারে উপনীত হয়েছে যে, বন্দী বিষয়ক চুক্তি সম্পর্কিত কোন আলোচনায় নেতানিয়াহু আগ্রহী নয়।
গাজায় হস্তক্ষেপের জন্য মিশরের শর্তারোপ
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য মিশর তিনটি শর্ত আরোপ করেছে।
১. গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনের জন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রদান করতে হবে।
২. ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের একটি প্রধান ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. মিশরীয় বাহিনী এবং অন্যান্য দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন করতে হবে।
পাশাপাশি সামরিক অভিযান চলাকালে পশ্চিম তীরের যেসব এলাকায় সহিংসতা বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে, সেসব এলাকাও মিশর উল্লেখিত শর্তসমূহ অন্তর্ভূক্ত করার শর্ত করেছে।
আর্থিক সহায়তা হ্রাস
এদিকে দুটি কৌশলগত খাত বাদে মিশর-ইসরায়েল উভয় পক্ষের মাঝেই উল্লেখযোগ্য হারে বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কৌশলগত খাত দুটি হলো: মিশরে ইসরায়েলের গ্যাস রপ্তানি ও কোয়ালিফাইড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনস (কিউআইজেড) চুক্তি। যা মিশর, ইসরায়েল ও আমেরিকার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য করা হয়েছিল। ফলে চুক্তিটির মাধ্যমে সব ধরনের শিল্প পণ্য আমেরিকান বাজারে কোন প্রকার শুল্ক ছাড়াই রপ্তানি করা যেত।
সূত্র: ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যম মারিভের বরাতে রাসদ নিউজ এন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link