ফার্মগেটের ছোট্ট একটি কম্পিউটার পার্টসের দোকান থেকে আজ শত কোটি টাকার মালিক সবুর খান। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান সবুর খান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থের অপব্যবহার, আত্মীয়স্বজনের নিয়োগ এবং সরকারি জমি দখলসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনায় থাকা বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ১১জন সদস্যের বেশিরভাগই তার পরিবারের সদস্য। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা এবং সেবামূলক কার্যক্রমে প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ রয়েছে, সবুর খান টিউশন ফি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন এবং বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
ড্যাফোডিল ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ অংশই গড়ে উঠেছে সরকারি বন বিভাগের জমিতে, যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। এছাড়া সবুর খানের মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ে বাড়ি কেনা এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগও উঠেছে।
তবে ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষ অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে এবং এটাকে একটি ‘স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দাবি করেছে।