নিউজনেস্ট

হিজবুল্লাহর ড্রোনের কাছে যে কারণে পরাস্ত ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

হিজবুল্লাহর ড্রোনের কাছে যে কারণে পরাস্ত ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ছবি : আল আরবি আল জাদিদ

গত ১৩ই অক্টোবর রোববার, ইসরায়েলের দক্ষিণ হাইফার বিনইয়ামিনা  এলাকায় অবস্থিত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোলানি ব্রিগেডের প্রশিক্ষণ ঘাঁটি লক্ষ্য করে একাধিক ড্রোন হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। হামলায় চার সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৬৭ জন আহত হয়। উল্লেখ্য, গেল বছরের ৮ই অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাতে হিজবুল্লাহর এই হামলা সবচেয়ে বড় আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

যেভাবে পরাস্ত হয় ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

হামলার পর হিজবুল্লাহ থেকে এক বিবৃতিতে জানা যায়, ড্রোন হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলের নাহারিয়া ও আক্কা অঞ্চলেও প্রচুর রকেট ছোড়া হয়েছিল। ফলে ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে রকেট ঠেকাতে ব্যস্ত রেখে হাইফার বিনইয়ামিনায় ফলে একটি সফল ড্রোন হামলা চালাতে সক্ষম হয় হিজবুল্লাহ।

নিচু হয়ে উড়ে যায় ড্রোনগুলো

ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র ইয়োদিয়োথ আহরোনোতের স্পেশাল রিপোর্টার ও সামরিক বিশ্লেষক রন বেন ইশাই জানান, হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলো অত্যন্ত নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়ায় মাটির আড়াল নিতে সক্ষম হয়েছিল। ফলে এগুলোকে ট্র্যাক করা ইসরায়েলি রাডারের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

সীমান্তের কাছ থেকে উৎক্ষেপণ

ইসরায়েলের একটি সূত্রে জানা যায়, হিজবুল্লাহ ড্রোনগুলো সীমান্তের মাত্র ১০ কিলোমিটার দূর থেকে ছোড়া হয়। ফলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ড্রোনগুলোকে শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় পায়নি। কারণ, সীমান্তের এত কাছে থেকে আক্রমণ প্রতিরক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ কমিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলর একটি সামরিক সূত্র।

ইসরায়েলের পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা অকার্যকর করা

বানিজ্য ও অর্থনীতি বিষয়ক ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কালকালিস্টের রিপোর্ট অনুসারে, চলমান যুদ্ধের শুরুতেই হিজবুল্লাহ কৌশলে ইসরায়েলের নজরদারি ব্যবস্থার দূর্বলতা খুজে বের করে। যা ড্রোনগুলোর সনাক্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমিয়ে দেয়। আর ঠিক এভাবেই হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলোর গোপনীয়তা রক্ষা করে সহজেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়।

ড্রোনগুলো ইসরায়েলের জন্য মাথাব্যথা

এছাড়া হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলো স্বল্প ওজন ও উচ্চগতি সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি স্বল্প মাত্রার বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম। ফলে ড্রোনগুলোর লোকালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সামর্থ্য থাকায় ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ড্রোনগুলো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত