সম্প্রতি ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা ঠেকাতে গিয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে ইসরায়েলের অ্যারো ও ডিফেন্ড স্লিং ইন্টারসেপ্টর মিসাইল। ফলে ইসরায়েলের মিসাইল সঙ্কট দূর করতে বরাবরের মতই এগিয়ে এসেছে আমেরিকা। ইসরায়েলের মিসাইল সঙ্কট দূর করতে নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘থাড’ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকা।
২০১৯ সালে সর্বপ্রথম থাড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিজেদের সামরিক কার্যক্রমে যুক্ত করে আমেরিকা। যদিও এখন পর্যন্ত আমেরিকা ‘থাড’ মিসাইল সিস্টেম কোন যুদ্ধে ব্যবহার করেনি, কিন্তু ইসরায়েল এখন সেই ‘থাড’ সিস্টেম আমেরিকার কাছে চেয়ে বসেছে। তাই ‘থাড’ মিসাইল সিস্টেম কোন অপারেশনে সর্বপ্রথম ব্যবহার করতে যাচ্ছে ইসরায়েল।
গাজা যুদ্ধে আমেরিকার সরাসরি অংশীদারিত্ব
এদিকে উন্নত এই মিসাইল সিস্টেম পাঠানোর সাথে সাথে ক্ষেপণাস্ত্রটি পরিচালনার জন্য ইসরায়েলকে একটি সামরিক ইউনিট দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকা। ফলে এতদিন ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তার মাধ্যমে এই যুদ্ধে আমেরিকা জড়িত থাকলেও এবার সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে।
‘থাড’ সিস্টেমের কাজ কী?
‘থাড’ সিস্টেম মূলত একটি এ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ইন্টারসেপ্টর সিস্টেম। তবে এর আরও কিছু বৈশিষ্ট আছে। যেমন, ‘থাড’ সিস্টেমে রয়েছে রাডার স্টেশন। সেই রাডার আবার যেকোন যায়গায় স্থানান্তর করা যায়। এছাড়া ‘থাড’ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে ছুঁড়তে লঞ্চ প্যাডও ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য, আমেরিকা নিজ দেশ এবং ইসরায়েলের ভূমি প্রতিরক্ষা করতে ‘থাড’ সিস্টেম আবিষ্কার করে আমেরিকা। বিশেষত ইরান থেকে সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা ছিল ‘থাড’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তৈরির অন্যতম লক্ষ্য।
সূত্র: টিআরটি অ্যারাবিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link