ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামাস নেতা ইয়াহইয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর ঘোষণা আসার পরপরই পশ্চিমা বিশ্বের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ এই ঘটনাকে দেখছেন বড় সামরিক সাফল্য হিসেবে। কেউবা এটিকে আবার গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধের একটি সমাধানের সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ভিন্নতাবেধে পশ্চিমা নেতৃবৃন্দ যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তা নিম্নরূপ:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন : ‘ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের জন্য এটি ভাল একটি দিন’
ইহাইয়া সিনওয়ারের শাহাদাতকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এটি ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের জন্য একটি ভালো দিন। হামাস বিহীন গাজায় নতুন দিনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে।’
জ্যাক সুলিভান: ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না’
এদিকে ইহাইয়া সিনওয়ারের হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা অস্বিকার করে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান স্পষ্টভাবে জানান, ‘ইয়াহইয়া সিনওয়ারের হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটি সম্পূর্ণ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি অভিযান ছিল।’
কমলা হ্যারিস: ‘যুদ্ধ শেষ করার সুযোগ’
অপরদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস সিনওয়ারের মৃত্যুতে গাজায় দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসানের আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অবশেষে সিনওয়ারের মৃত্যু গাজায় যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’
এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ: ‘মোড় ঘোরানো সামরিক সাফল্য ’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই ঘটনাকে ইসরায়েলের জন্য একটি বড় সামরিক সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘সিনওয়ারের মৃত্যু যুদ্ধের মোড় ঘোরানো এক মুহূর্ত। এখন এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্ত করতে হবে এবং যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে হবে।’
কিয়ার স্টারমার: ‘ব্রিটেন দুঃখ প্রকাশ করবে না’
অন্যদিকে ইহাইয়া সিনওয়ারের শাহাদাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার স্পষ্ট ভাষায় জানান, ‘ব্রিটেন ইয়াহইয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করবে না। কারণ, তিনি ছিলেন ইহুদি ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তাক্ত দিনগুলোর পরিকল্পনাকারী।’
জর্জিয়া মেলোনি: ‘প্রধান অপরাধী আর নেই’
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি সিনওয়ারের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর সঙ্গে, ৭ অক্টোবরের গণহত্যার প্রধান দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি আর জীবিত নেই।’
উল্লেখ্য, ইয়াহইয়া সিনওয়ারের মৃত্যু পশ্চিমা বিশ্বের কাছে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। কেউ এটিকে ইসরায়েলের বড় সামরিক সাফল্য হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ এটিকে সংঘাতের অবসানের সম্ভাব্য পথ হিসেবে বিবেচনা করছেন। তবে, এটি স্পষ্ট যে, এই ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
সূত্র: আল জাজিরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link