জাতীয় শিক্ষা সংস্কার মঞ্চের উদ্যোগে পতিত ফ্যাসিজমের শিক্ষা-সাংস্কৃতিক নীতি বিলোপ এবং ইসলামবান্ধব বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা তৈরী ও নতুন সাংস্কৃতিক পুনর্গঠন-শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইসলামি চিন্তাবিদ, রাষ্ট্র চিন্তক, নাগরিক সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেনা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
২০ অক্টোবর (সোমবার) দুপুরে বনানী ই-ব্লকের ধাবা রেস্তোরাঁয় এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আমার দেশের সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন মুফতি হারুন ইজহার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মুফতি হারুন ইজহার, সিয়ান পাবলিকেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আহমেদ রফিক, মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন, ইউসিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. এম.এ. হালিম পাটওয়ারী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো. হুমায়ুন কবির, কবি মাহমুদুর রহমান নিজামী প্রমুখ।
অনুষ্ঠান থেকে ১০ দফা প্রস্তাবনা পেশ করা হয়
১. দেশ ও মানুষের অভিপ্রায় এবং মাটি ও মানুষের সংস্কৃতিকে মৌলিকভাবে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডকে সামনে রেখে বিশ্বমানের শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে।
২. শিক্ষাব্যবস্থায় এদেশের মানুষের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করতে হবে এবং পশ্চিমাদের কালচারাল প্রভাব থেকে পাঠ্যপুস্তককে মুক্ত করতে হবে।
৩. আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও ঔপনিবেশিক প্রভাব থেকে মুক্ত, স্বাধীন, জনবান্ধব এবং ইসলাম ও মুসলিমদের স্বার্থবান্ধব বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাণীতি প্রণয়ন করতে হবে।
৪. শিক্ষাব্যবস্থার সকল স্তর থেকে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক বয়ানকে বিলুপ্ত করে তাকে নিরপেক্ষ, পূর্ণাঙ্গ ও জনগণের স্বার্থবান্ধব করতে হবে।
৫. শিক্ষাব্যবস্থার সকল স্তর থেকে ফ্যাসিবাদের দোসর, একচোখা বুদ্ধিজীবিদের অপসারণ করে যোগ্য ও নিরপেক্ষ শিক্ষাবীদ ব্যক্তিত্বদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৬. শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন কমিটিতে ইসলামপন্থী শিক্ষাবীদ এবং আলিমদের নিযুক্ত করতে হবে।
৭. বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ পূর্ণগঠন করতে হবে এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ইসলামপন্থীদের কোনঠাসা করে রাখার কালচারকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৮. যোগ্য ও নিরপেক্ষ ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উত্তীর্ণ করার ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে।
৯. প্রাইমারী শিক্ষকদের বেতন ও সুবিধাদী বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার মূল্যায়ন বৃদ্ধি করতে হবে।
১০. সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষকে র্নিমূল করে ইসলামবান্ধব নতুন কাঠামো তৈরী করতে হবে। হিজাব, পর্দা, নেকাব, নামাজসহ সব ধরণের ইসলামচর্চাকে কাঠামোগত বৈধতা প্রদান করতে হবে।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মীর ইদরীস, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মাওলানা কামরুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা শের মুহাম্মাদ, মাওলানা আহমাদ রফিক, আহমেদ রফিক, আসিফ আদনান, আবু ত্বহা আদনান, ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি, ডা. মাহাদী হাসান, মাওলানা জাকারিয়া মাসুদ, সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার, মাওলানা নাজমুল হক সাকিব সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নাগরিক।