তারিখ প্রদর্শন
লোগো

সকাল থেকে টানা বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়া বইছে বরিশাল বিভাগের সবগুলো জেলায়। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা। জেলা-উপজেলা শহরগুলোতে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। প্রতি ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নদ-নদীর পানির উচ্চতাও। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৩ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হলেও বিকেল ৩টা পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ মিলিমিটার পর্যন্ত। এমনকি মাঝে মাঝে ঘণ্টায় ৪০-৪৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে দমকা হওয়া বইছে। বৃহস্পতিবার ২৪শে অক্টোবর বিকেলে আবহাওয়া অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রথমে দুপুর ১২টায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জল অনুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদ সীমা থেকে মাত্র ৫৭ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান তাজুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বরিশাল বিভাগের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানির উচ্চতাও বেড়েছে। এর মধ্যে বুড়িশ্বর, বলেশ্বর, বিষখালী, মেঘনা, সন্ধ্যা, পায়রা, তেঁতুলিয়া অন্যতম।

তবে দক্ষিণ উপকূলে দানা তাণ্ডব দেখালেও বাংলাদেশের সমতলে এই ঘূর্ণিঝড়ের আসার কোনো আশঙ্কা নেই। বরং ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বা শুক্রবার সকালে ‘দানা’ আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন, বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস। 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি বিবেচনায় বরিশাল নদীবন্দরকে দুই নম্বর সংকেত দেখানোর পাশাপাশি দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সংকেত দেখাতে  বলা হয়েছে। এছাড়া বেলা ১১টার দিকে সকল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা এবং নৌযানগুলোকে নিরাপদে নোঙর করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক আব্দুর রাজ্জাক।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সরেজমিনে বরিশাল শহর ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর প্রধান সড়ক থেকে বর্ধিত এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দিনভর বৃষ্টির কারণে বরিশাল শহরের সদর রোড, অক্সফোর্ড মিশন রোড, প্যারারা রোড, কলেজ অ্যাভিনিউ, রূপাতলী হাউজিংসহ মোহাম্মদপুর, রসূলপুর, পলাশপুর,  কাউনিয়া, বটতলা এলাকায় বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন ও মানুষ চলাচল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *