নিউজনেস্ট

ওয়াসার পাইপ প্রকল্পে দুর্নীতি: তাকসিম এ খানের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটের ছায়া

ওয়াসার পাইপ প্রকল্পে দুর্নীতি: তাকসিম এ খানের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটের ছায়া
তাকসিম এ খান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ওয়াসার একটি মেগা প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মুন্সীগঞ্জের যশলদিয়া থেকে পদ্মার পানি পরিশোধন করে ঢাকায় সরবরাহের লক্ষ্যে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সংস্থাটি। তবে এই প্রকল্পের মূল উপকরণ পাইপের মান নিয়ে বড় ধরনের জালিয়াতি হয়েছে। ঢাকা ওয়াসার তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান এবং তার ঘনিষ্ঠরা কম পুরুত্বের নিম্নমানের পাইপ সরবরাহ করে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ।

প্রকল্পের প্রথম পরিচালক প্রকৌশলী এম এ রশীদ সিদ্দিকী নিম্নমানের পাইপ সরবরাহ বন্ধ করতে ঠিকাদারকে চিঠি দিলে তাকসিম তাকে প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেন। এরপর প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামকে, যিনি তাকসিমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাকসিম ও তার সিন্ডিকেটের আরও কিছু মেগা প্রকল্পেও এ ধরনের দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পাইপ দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের রমরমা ব্যবসা

ওয়াসার মেগা প্রকল্পগুলোতে মূলত বিভিন্ন আকার ও মানের পাইপ গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই পাইপের মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নয়ছয় হয়েছে। যা পরিচালনা করেছে তাকসিম এ খানের সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের মধ্যে ছিলেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম শহিদ উদ্দিন এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম। যদিও এদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল, তবে তারা একত্রে দুর্নীতির ফাঁদ পেতেছিলেন বলে জানা যায়।

তাকসিম এ খান বর্তমানে পলাতক থাকলেও তার সহযোগীরা ওয়াসাতে বহাল তবিয়তে আছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

সিন্ডিকেটের অপকর্ম ও কোর্টের নির্দেশনা

সরকার পরিবর্তনের পর তাকসিম অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত ১৪ আগস্ট ওয়াসার এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার পরবর্তীতে এ কে এম সহিদ উদ্দিন এমডি হিসেবে দায়িত্ব পেলেও, ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তাকে এ দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেন এবং সিন্ডিকেটের দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্টদের অনেকেই এখনো বহাল আছেন।

এমডি সহিদ উদ্দিন স্বল্প সময়ের মধ্যেই আরও দুর্নীতিতে জড়িত হন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দিয়েছেন।

ভবিষ্যৎ নির্দেশনা ও টিআইবি’র মন্তব্য

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ওয়াসার প্রকল্পগুলো জনগণের অর্থায়নে পরিচালিত। তাই এর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাকসিম এ খান হয়তো পলাতক, তবে তার সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয়।

এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত ও শাস্তি না হলে, ভবিষ্যতে একই ধরনের অপকর্মের পুনরাবৃত্তি হবে বলে সতর্ক করেছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

ঢাকা ওয়াসার একটি মেগা প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মুন্সীগঞ্জের যশলদিয়া থেকে পদ্মার পানি পরিশোধন করে ঢাকায় সরবরাহের লক্ষ্যে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সংস্থাটি। তবে এই প্রকল্পের মূল উপকরণ পাইপের মান নিয়ে বড় ধরনের জালিয়াতি হয়েছে। ঢাকা ওয়াসার তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান এবং তার ঘনিষ্ঠরা কম পুরুত্বের নিম্নমানের পাইপ সরবরাহ করে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ।

প্রকল্পের প্রথম পরিচালক প্রকৌশলী এম এ রশীদ সিদ্দিকী নিম্নমানের পাইপ সরবরাহ বন্ধ করতে ঠিকাদারকে চিঠি দিলে তাকসিম তাকে প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেন। এরপর প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামকে, যিনি তাকসিমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাকসিম ও তার সিন্ডিকেটের আরও কিছু মেগা প্রকল্পেও এ ধরনের দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পাইপ দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের রমরমা ব্যবসা

ওয়াসার মেগা প্রকল্পগুলোতে মূলত বিভিন্ন আকার ও মানের পাইপ গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই পাইপের মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নয়ছয় হয়েছে। যা পরিচালনা করেছে তাকসিম এ খানের সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের মধ্যে ছিলেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম শহিদ উদ্দিন এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম। যদিও এদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল, তবে তারা একত্রে দুর্নীতির ফাঁদ পেতেছিলেন বলে জানা যায়।

তাকসিম এ খান বর্তমানে পলাতক থাকলেও তার সহযোগীরা ওয়াসাতে বহাল তবিয়তে আছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

সিন্ডিকেটের অপকর্ম ও কোর্টের নির্দেশনা

সরকার পরিবর্তনের পর তাকসিম অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত ১৪ আগস্ট ওয়াসার এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার পরবর্তীতে এ কে এম সহিদ উদ্দিন এমডি হিসেবে দায়িত্ব পেলেও, ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তাকে এ দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেন এবং সিন্ডিকেটের দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্টদের অনেকেই এখনো বহাল আছেন।

এমডি সহিদ উদ্দিন স্বল্প সময়ের মধ্যেই আরও দুর্নীতিতে জড়িত হন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দিয়েছেন।

ভবিষ্যৎ নির্দেশনা ও টিআইবি’র মন্তব্য

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ওয়াসার প্রকল্পগুলো জনগণের অর্থায়নে পরিচালিত। তাই এর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাকসিম এ খান হয়তো পলাতক, তবে তার সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয়।

এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত ও শাস্তি না হলে, ভবিষ্যতে একই ধরনের অপকর্মের পুনরাবৃত্তি হবে বলে সতর্ক করেছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

ডেস্ক রিপোর্ট
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত