গতকাল ভোরে ইরানের ওপর বড় পরিসরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত এই হামলায় কোন ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ইরানের উপর চালানো এই হামলাকে ইসরায়েল নাম দিয়েছে ‘প্রতিশোধের দিন’।
ইসরায়েলি অভিযানের প্রেক্ষাপট
এদিকে অভিযান শুরুর প্রায় চার ঘণ্টা পর ইরানের নির্দিষ্ট সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা সম্পন্ন করে নিরাপদে বিমানগুলো ফিরে আসার কথা জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পরে ইসরায়েল দাবি করে, এই হামলা তাদের পরিকল্পিত লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানান, এই হামলা ইরানের সাম্প্রতিক আক্রমণের প্রতিশোধ হিসাবে পরিচালিত হয়েছে।
তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, এই আক্রমণ ইরানের পারমাণবিক বা তেল স্থাপনা নয় বরং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানার মতো সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
ইরানের প্রতিক্রিয়া
এদিকে হামলার পর ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, তারা রাজধানী তেহরানসহ কয়েকটি স্থানে ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। ইরান দাবি করে, তিনটি লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল এবং হামলা প্রতিহত করতে তাদের সামরিক বাহিনী সম্পূর্ণ সতর্ক ছিল।
মার্কিন প্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা
এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ইসরায়েল হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে এই পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেছিল। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল এই হামলা তাদের আত্মরক্ষার অংশ হিসেবে পরিচালিত করেছে।
এই কর্মকর্তা ইরানকে এই হামলার প্রতিশোধ না সতর্ক করে বলেন যদি ইরান পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায়, তবে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
সিরিয়া ও ইরাকেও উত্তেজনা
ইরানে হামলা চলাকালীন, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কেও আক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এবং সিরিয়ার সেনাবাহিনী এই আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে, ইরাকের সালাহউদ্দিন প্রদেশে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেলেও তা নিশ্চিত করা যায়নি।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা
এদিকে ইরান জানিয়েছে তারা যে কোনো ধরনের আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।
সূত্র:আল জাজিরা