সাবেক সরকারের এমপি ড. আব্দুর রাজ্জাক। প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে ছিলেন একজন সজ্জন ও সাধারণ জীবনযাপন করা মানুষ। মধুপুর ও ধনবাড়ী এলাকায় ছিল না কোনো বাড়ি, ব্যবহার করতেন পুরোনো গাড়ি। কিন্তু দ্বিতীয়বার এমপি ও মন্ত্রী হওয়ার পর তার আচরণে পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতায় থেকে তিনি তার আত্মীয়স্বজন ও অনুগতদের দিয়ে দলীয় পদ দখল, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, জমি দখলসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন। এ কারণে তার গ্রেপ্তারের খবরে মধুপুর ও ধনবাড়ীর মানুষের মধ্যে দেখা গেছে সীমাহিন আনন্দ। আব্দুর রাজ্জাকের গেপ্তারের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণও করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রাজ্জাক ও তার আত্মীয়স্বজন গত ১৫ বছরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঢাকার গুলশান, বনানী এবং বিদেশে বেশ কিছু সম্পত্তির মালিকানা রয়েছে তার। এছাড়া হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগও রয়েছে আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে উঠেছে। আর তার এসব অপকর্মে সহায়তা করেছে তাঁর আত্মীয়রা। নামে-বেনামে তারা গড়েছেন কোটি টাকার সম্পত্তি।
আব্দুর রাজ্জাকের আত্মীয়রা ছাড়াও আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে থাকা অনুগত কয়েকজন ঠিকাদারি, সরকারি প্রকল্প বাগিয়ে নেয়া এবং জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। তাঁর প্রভাবের ফলে আওয়ামী লিগের স্থানীয় অনেক নেতাকর্মী পর্যন্ত এলাকায় উপেক্ষিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতারা মনে করেন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং আত্মীয়স্বজনের আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে তিনি দলের ভেতর বিভেদ সৃষ্টি করেছেন।
উল্লেখ্য, আব্দুর রাজ্জাকের উত্থান শুরু হয় ২০০১ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর। প্রথমদিকে তাঁর জীবনযাপন ছিল সাধারণ। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।