বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপের কাছে বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা বকেয়া থাকার কারণে গতকাল থেকে দেশে অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে আদানি গ্রুপ। আদানি গ্রুপ মূলত ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডা এলাকায় অবস্থিত এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
তবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) জানিয়েছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে গত বুধবার পর্যন্তও দেশে গড় প্রতি এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও, গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দিনের বেলায় বাংলাদেশে গড়ে মাত্র ৫৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারাহ করেছে।
এদিকে সম্প্রতি ঝারখণ্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্র আদানি পাওয়ার লিমিটেডের প্রতিনিধি ও যৌথ সমন্বয় কমিটির সভাপতি এম আর কৃষ্ণ রাও এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিসি) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ১৭০.০৩ মিলিয়ন ডলারের জন্য প্রয়োজনীয় এলসি প্রদান না করায় এবং ৮৪৬ মিলিয়ন ডলারের (১০,০৮৬ কোটি টাকা) বকেয়াও শোধ না করায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলস্বরূপ বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে গিয়েছে।
এম আর কৃষ্ণ আরও বলেন, ‘অনেকগুলো বকেয়া এবং অনাদায়ী এলসির কারণে আমরা কয়লা সাপ্লায়ার এবং অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ কন্ট্রাক্টরদের জন্য মূলধন নিরাপদে রাখতে পারছি না। ফলে আমাদের ঋণদাতারাও সহায়তা প্রত্যাহার করছে।’
উল্লেখ্য, গত ৩০শে অক্টোবর ২০২৪ তারিখের মধ্যে আদানি গ্রুপ এক চিঠিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিপিডিসিকে এম আর কৃষ্ণের উল্লেখিত সমস্যগুলো সমাধানের আহ্বান জানায়। অন্যথা হলে ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশে বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করা হতে পারে মর্মে হুমকি দেয়। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত আদানির বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় ঝারখণ্ডের কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।
এদিকে দেশের কয়লাভিত্তিক তিন বিদ্যুৎকেন্দ্র—এস আলম, রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও বিদ্যুতের উৎপাদন কমিয়ে আনায়, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট
- ডেস্ক রিপোর্ট#molongui-disabled-link
- ডেস্ক রিপোর্ট#molongui-disabled-link
- ডেস্ক রিপোর্ট#molongui-disabled-link
- ডেস্ক রিপোর্ট#molongui-disabled-link