সম্প্রতি গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ড. মুনির আল বারশ বলেছেন, ‘উত্তর গাজার বাইত লাহিয়া ও জাবালিয়ায় শরণার্থী শিবিরে গত ২৭ দিন ধরে গণহত্যা চালিয়ে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ১২০০ এর অধিক ফিলিস্তিনিকে শহিদ করেছে। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে জড়ো হয়েছে অসংখ্য আহত ব্যক্তি।‘
ড. বারশ স্পষ্ট করে আরও বলেন, কোন জবাবদিহিতা না থাকায় এবং অপরাধ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউ কার্যকরি কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ইসরায়েল গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ করেই যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দখলদার ইসরায়েল উত্তর গাজার হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলোও নিতে দিচ্ছে না। সেই সাথে উত্তর গাজার কামাল উদওয়ান হাসপাতাল, আউদা হাসপাতাল, ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে দীর্ঘ দিন যাবত অবরোধ করে রেখেছে।
এদিকে ফিলিস্তিনিরা জানান, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গত অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ উত্তর গাজার জাবালিয়া শহর, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরসহ বৃহৎ এলাকাজুড়ে নজিরবিহীন বোমা হামলা চালায়। এর পরের দিন ‘হামাসের হাত থেকে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের’ অযুহাতে আবারও হামলা শুরু করে। দখলদার ইসরায়েল আসলে জাবালিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে সেখানকার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করতে চায়।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরায়েল আমেরিকার পূর্ণ সমর্থনে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে গাজায় বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় এ পর্যন্ত অগণিত নারী ও শিশুসহ ১ লক্ষ ৪৪ হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
সূত্র: আল জাজিরা