নিউজনেস্ট

মাসব্যাপী সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত মালির রাজধানী বামাকো, নিহত ৭০

মাসব্যাপী সংঘর্ষে উত্তাল মালির রাজধানী বামাকো, নিহত ৭০
মাসব্যাপী সংঘর্ষে উত্তাল মালির রাজধানী বামাকো, নিহত ৭০। ছবি: আমাদ

গত এক মাসে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির রাজধানী বামাকোর পুলিশ একাডেমি ও বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে আল কায়েদা সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন জামায়াত নাসরুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন বা  জেএনআইএম। হামলায় নিহত হয়েছে ৭০-এর অধিক মানুষ।

এই হামলার পর মালির সীমান্তের ৩০ মাইল দূরে অবস্থিত আফ্রিকান রাষ্ট্র  আইভরি কোস্ট, গিনি, সেনেগাল এবং মৌরিতানিয়াতেও অনুরূপ ঘটনা ঘটে।   বিগত বছরগুলোতে পশ্চিম আফ্রিকার এসব দেশে সচরাচর যা দেখা যায়নি।

এর আগে ২০২০ সালে আল কায়েদা সমর্থিত জামায়াত নাসরুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন নামের এই সশস্ত্র সংগঠনটি সন্ত্রাস দমনের অযুহাতে মালিতে অবস্থানরত ফরাসী সেনাবাহিনীকে দেশটি থেকে বিতাড়িত করার আহ্বান জানায়।

পরে ফরাসী সেনারা মালি ছেড়ে চলে গেলে সামরিক সহায়তা পেতে রাশিয়ার দিকে মনোযোগ দেয় মালি সরকার। বর্তমানে মালি প্রশাসন নিজেদের মাটিতে রাশিয়া সমর্থিত ভাড়াটে সেনা সংস্থা ওয়াগনার বাহিনীর অবস্থানের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা না দিলেও, সেখানে অবস্থানরত ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সেনার সংখ্যা আনুমানিক এক থেকে দুই হাজারের মত হবে। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে মালির রাজধানী বামাকোতে ভয়াবহ হামলা দেশটিতে ভাড়াটে সেনা সংস্থা ওয়াগনার গ্রুপের ব্যর্থতাকে তুলে ধরে।

অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, মালিতে ভাড়াটে সেনা সংস্থা ওয়াগনার গ্রুপের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক ফায়দা হসিল করছে আল কায়েদা সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন জেএনআইএম। কারণ, দীর্ঘ দিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকা আফ্রিকার উপকূলীয় দেশগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে ওয়াগনার গ্রুপসহ যেকোন বিদেশী শক্তিই হুমকিস্বরূপ। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে পুরো মালিজুড়ে ওয়াগনার গ্রুপের অপরাধ ও দখলদারিত্ব জেএনআইএমকে আরও জনপ্রিয় হতে এবং দল ভারী করতে সাহায্য করছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আফ্রিকায় আল কায়েদার হাতে গঠিত সশস্ত্র গ্রুপগুলোর অন্তর্গত একটি শাখা সংগঠন আলোচিত এই জেএনআইএম। বর্তমানে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি ও বুরকিনাফাসোর বিশাল এক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে মালির রাজধানীতে হামলা চালানো সশস্ত্র এই সংগঠন।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত