পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপন করতে একযোগে কাজ করছে ইসরায়েলের সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা। এতে স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের জন্য তৈরি হয়েছে এক জটিল পরিস্থিতি। বর্তমানে একটি সংগঠিত যৌথ প্রক্রিয়ায় পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
প্রক্রিয়াটির প্রথম ধাপ হিসেবে ইসরায়েলের নিরাপত্তা সেবা সংস্থা, সেনাবাহিনী এবং বর্ডার পুলিশ ফিলিস্তিনিদের জমিগুলো সামরিক এলাকা হিসেবে দখল করে। এরপর অবৈধ বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে ইসরায়েলের কৃষি মন্ত্রণালয় জমিগুলোর জন্য কৃষি প্রকল্প এবং বাজেট বরাদ্দ করে। পাশাপাশি নির্মাণ মন্ত্রণালয়ও অবৈধ বসতি সম্প্রসারণে প্রদান করে আর্থিক সুবিধা।
তৃতীয় ধাপে বিভিন্ন ইহুদি সংস্থা এবং ইসরায়েলের অভিবাসন মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় ইহুদি অভিবাসীদের নিয়ে আসার পাশাপাশি জমি দখলকে বৈধতা দেওয়া শুরু করে। ঠিক যেভাবে ইসরায়েল জেরুজালেম শহরটিকে ইহুদীকরণের লক্ষ্যে বসতি স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে।
চতুর্থ ধাপে এসে ইসরায়েলের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় তহবিল সংস্থা ফিলিস্তিনি জমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা করে। ইতিমধ্যে যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জন্ম দিয়েছে তীব্র বিতর্কের।
উল্লেখ্য, অবৈধ বসতি স্থাপনের এলাকাগুলোয় ইসরায়েল রাস্তা, পানি ও বিদ্যুতের লাইন নির্মাণের মাধ্যমে ইসরায়েলি দখলদাররা ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণকে আরও শক্তিশালী করছে। পাশাপাশি ইসরায়েলের এই সমন্বিত প্রচেষ্টা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
সূত্র: নুন পোস্ট