নিউজনেস্ট

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাকি রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু

ঢাবি ক্যাম্পাসে সহিংসতায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

পূর্বের কোটা ব্যবস্থা বহাল রেখেই শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫ শতাংশ, ওয়ার্ড/পৌষ্যদের জন্য ১ শতাংশ, উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হরিজন ও দলিত সম্প্রদায়ের জন্য ১ শতাংশ এবং দৃষ্টি, বাক, শ্রবণ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ হিজড়াদের জন্য ১ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রয়েছে। এর বাইরে গত বছরের ন্যায় এবারও খেলোয়াড় কোটায় ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাবি।

এদিকে উক্ত ভর্তি কার্যক্রমে অন্য কোটায় কারো দ্বিমত না থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান তারিক বলেন, ‘আমরা কিছুদিন আগেই কোটার বিপক্ষে আন্দোলন করলাম। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দাবি না মেনে আমাদের ওপর গুলি চালিয়ে হাজারো ছাত্র-জনতাকে শহিদ করল। এখন তার তিন মাস না যেতেই মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অথচ এখান থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল। প্রশাসনের মাথায় রাখা উচিত অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে যেন কখনো অবহেলা করা না হয়। এটা মাথায় রেখে অবিলম্বে যেন এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা হয়।’

অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই মাসের শুরুতে আমাদের আন্দোলন ছিল কোটার বিরুদ্ধে, যেখানে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের ৩০ শতাংশসহ ৫৬ শতাংশ কোটা দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল মেধাবীদের সঙ্গে প্রহসন। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এক পর্যায়ে স্বৈরাচার হাসিনার পদত্যাগ করিয়েছি। এখন জানতে পারলাম, ঢাবি নাকি মেধাবীদের রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের ৫ শতাংশ কোটায় ভর্তি করাবে। এটা কোনভাবেই মানা যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেই ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, সেখানে তারাই বৈষম্য করতে চাইছে। প্রশাসনের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না, এর ফল খারাপ হতে পারে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, অতি দ্রুত যেন এই কোটা বাতিল করে নতুনভাবে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হয়।’

ঢাবি ছাত্রদের এমন দাবীর প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এটা নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে জোরেশোরেই আলোচনা হয়েছে। সেদিনই একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু সময়ের স্বল্পতা ছিল এ বছর, তাই আগে থেকে সংশোধন করা সম্ভব হয়নি। তবে এটা আগামী মিটিংয়ের পরে এর রিভিউ হতে পারে।’

ডেস্ক রিপোর্ট
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত