বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিয়ম অনুসারে বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৮১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। যদিও বৈদেশিক সাহায্য এবং অন্যান্য তহবিল মিলিয়ে দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মোট দুই হাজার ৫৭২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।
সম্প্রতি বাংলাদেশে আমদানি ব্যয় কিছুটা হ্রাস পাওয়া এবং প্রবাসী আয়ের ধারা ইতিবাচক থাকায়, রিজার্ভে এখন বিরাজ করছে স্বাভাবিক অবস্থা। তাছাড়া প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত ডলারের অনুরোধ করতে হচ্ছে না। বরং উল্টো এসব ব্যাংক রেমিট্যান্সের নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা দিচ্ছে। পাশাপাশি রিজার্ভের অংশ হিসেবে বৈদেশিক ঋণ, সাহায্য, বিনিয়োগের ডলার এবং রফতানি আয়ের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি তো আছেই।
এদিকে চলতি মাসেও রিজার্ভের পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে। অক্টোবরে রিজার্ভ ছিল এক হাজার ৯৮২ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ডলার। সে হিসেবে এক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ১৮ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
তবে ব্যবহারযোগ্য নিট রিজার্ভের পরিমাণ এখনো ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। এছাড়া অতিশীঘ্রই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু)-এর বিল পরিশোধে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। এতে করে রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামতে পারে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটি প্রবাহমান ধারা। এটি কখনো বাড়ে, কখনো কমে। তবে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার জোগান ভালো থাকায় রিজার্ভ আর হ্রাস পাবে না বলে আশা করা হচ্ছে।’