গতকাল বৃহস্পতিবার ৭ই নভেম্বর বিকেলে দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
বক্তব্যে সারজিস আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কোন দল বা গোষ্ঠীর জায়গা নয়। আগামীর বাংলাদেশে সঠিক নেতৃত্ব চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতি বাদ দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
সারজিস আরও বলেন, আমরা নেতা তৈরি করব না; আমাদের প্রতিনিধি তৈরি করতে হবে। বিগত ১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় কারা শোডাউন দিত তা সকলেরই জানা আছে। এখন কারো যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পায়ে হেঁটে চলার মানসিকতাই না থাকে তাহলে সে কি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাতারে পড়ে?
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছে। এখন আমরা সবাই সহযোদ্ধা। সুতরাং পায়ে হাঁটার মানসিকতা না থাকলে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি হওয়ার নৈতিক অধিকার কারোই থাকতে পারে না। এ সময় সমাবেশে সমন্বয়ক সারজিস আলম ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তব্যে হাসানাত লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা কখনো রাষ্ট্র সংস্কার করতে আসে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আসেন নিজের হাল ধরতে, পরিবারের হাল ধরতে। তাই রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্রদের একটি ডিফল্ট প্রক্রিয়া।’
হাসানাত আরও বলেন, ‘স্কুলের একজন টিচারকে দূর থেকে দেখলেই, আমরা কিন্তু সালাম দেই। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে সেমিস্টার গড়ালেই শিক্ষক-ছাত্রের সম্পর্ক শেষ হয়। এর মানে দাঁড়ায়, যারা শিক্ষক তাদের অনেক দায়ভার আছে। কারণ, শিক্ষকতা একটি পরিচয়। শিক্ষক হয়ে আলাদাভাবে রাজনীতি করার প্রয়োজন হয় না। তাই যারা শিক্ষক, যারা প্রশাসন তারা শিক্ষার্থীমুখী হোন, ছাত্রমুখী হোন; ক্ষমতামুখী হয়েন না।’