সম্প্রতি আফগানিস্তানের দাইকুন্দি প্রদেশের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছর আফগানিস্তানের দাইকুন্দি প্রদেশে বাদামের উৎপাদন প্রায় ২৪,০০০ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৮% বেশি।
এদিকে বাদামের এমন বাম্পার ফলনের পরও দাইকুন্দি প্রদেশের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাদামের দামের পতন নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ‘দাইকুন্দি প্রদেশের বিরূপ আবহাওয়া এবং পানির অভাব বাগান চাষে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করার পাশাপাশি ফলন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়াতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম পথ অতিক্রম করে অন্যান্য প্রদেশের বাজারে পণ্য পরিবহন ব্যয়বহুল হওয়ায় কৃষকদের লাভের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জের কারণে অনেক কৃষক তাদের উৎপাদিত বাদাম থেকে প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন করতে পারছেন না।
দাইকুন্দি প্রদেশের কৃষকরা আরও বলেছেন, প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং কৃষি খাতকে লাভজনক করতে স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে এই খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোরও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, বাদাম হচ্ছে আফগানিস্তানের দাইকুন্দি প্রদেশে দাইকুন্দির প্রধান কৃষিজ পণ্যের একটি এবং এখানকার ৭০ শতাংশেরও বেশি পরিবার তাদের দৈনন্দিন জীবিকার জন্য বাগান চাষাবাদের উপর নির্ভর করে। বাদাম চাষ প্রদেশটির অর্থনৈতিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এবং এখানকার কৃষকদের প্রধান আয়ের উৎস।
বাদাম ছাড়াও দাইকুন্দি প্রদেশে আখরোট, আপেল, আঙ্গুর, এপ্রিকট এবং পীচের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফলও উৎপাদিত হয়। তবে এই ফলগুলোও বাজারজাতকরণ ও পরিবহন প্রক্রিয়ায় একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
সূত্র: ইয়াকিন নেটওয়ার্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
- ডেস্ক রিপোর্ট#molongui-disabled-link
- ডেস্ক রিপোর্ট#molongui-disabled-link
- ডেস্ক রিপোর্ট#molongui-disabled-link
- ডেস্ক রিপোর্ট#molongui-disabled-link