লিওর এতো দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরেও হেরে গেল ইন্টার মায়ামি। সেই সঙ্গে মেজর লিগ সকারের প্লে-অফ থেকেও বিদায়ঘন্টা বেজে গেল মেসিবাহিনীর। টেবিলের ৯ নম্বরে থাকা দলটার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করলো পয়েন্টের চূড়ায় থেকে সাপোর্টার্স শিল্ড জেতা দলটা। মেজর লিগ সকার থেকে মায়ামির বিদায়।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতে লাগাম ছিল ইন্টার মায়ামির হাতে। ১৭ মিনিটেই হোস্টদের লিড এনে দেয় রোজাস। ‘এক গোলের কোনো ভরসা নেই’ এই কথা ভাবতে ভাবতেই মায়ামির উপর শুরু হয়ে গেল ঝড়। জামালের জোড়া গোলে পিছিয়ে গেল মায়ামি। ১৭ থেকে ২১ মিনিট, ব্যস। চোখের পলকেই দুঃস্বপ্ন এসে হাজির হলো মেসিদের ঘরে।
টাইটেল রেসে টিকে থাকতে গেলে কামব্যাক ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই ইন্টার মায়ামির। এমন সময়ে আবারও দলকে উদ্ধার করলেন মেসি। তার দুর্দান্ত গোলে মায়ামি ম্যাচে ফেরে। তবে আজ সময় বা ভাগ্য—কোনোটাই মেসিদের পক্ষে ছিল না। ১০ মিনিট বাদেই গোল করে আবারও লিড নিয়ে নেয় আটলান্টা। ব্যস, ওই গোলেই এমএলএসে মেসিদের যবনিকাপাত ঘটে।
হারলেও ম্যাচজুড়ে যথারীতি দুর্দান্ত ছিলেন লিও মেসি। ৯০ মিনিটে ১টা গোল, পাশাপাশি প্রতিপক্ষের গোলবারে নিয়েছেন ৭টা শট। তারমধ্যে ৩টাই ছিল অন টার্গেট। লিগে এই নিয়ে ২৩ গোল ১৩ এসিস্ট আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তির। সব গল্পের শেষটা যেমন সুন্দর হয় না, মেজর লিগ সকারেও মেসি আর ইন্টার মায়ামির গল্পটাও রয়ে গেল অপূর্ণতায়।