প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার দৌড়ে সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে বলে মন্তব্য করেছেন লিভারপুলের হেড কোচ আর্নে স্লট। এমনকি অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে তার দল অতিরিক্ত পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও তিনি এমনটাই মনে করেন।
ব্রাইটনে ম্যানসিটির ‘হোঁচট খাওয়া’ ও অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে নিজেদের ২-০ গোলে জয়কে পুঁজি করে তিনটা পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে জায়গা তৈরি করেছে অলরেডরা। শুরুতে ডারউইন নুনেজ কাউন্টার অ্যাটাকে গোল করে অ্যানফিল্ডে স্বাগতিকদের লিড এনে দেয়। ম্যাচের শেষদিকে মোহামেদ সালাহ একইভাবে গোল করে দলকে নিশ্চিত ৩টা পয়েন্ট এনে দেয়।
যদিও হেড কোচ আর্নে স্লট ম্যাচের ফলাফলে সন্তুষ্ট। কিন্তু তিনি মনে করেন, মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে টেবিলের শীর্ষস্থানে থাকা মানেই লিগ শিরোপা জিতে যাওয়া নয়। বরং তার জন্য শীর্ষস্থানটা ধরে রাখা জরুরি।
তিনি ‘টিএনটি স্পোর্টস’কে বলেছেন—‘এটি মোটেও সহজ ছিল না, যেমনটা খেলার পর মনে হয়েছে। অ্যাস্টন ভিলা হয়তো ততটা আক্রমণাত্মক খেলেনি যতটা আমরা ভেবেছিলাম। আমরা আসলে ধৈর্য ধরে ছিলাম। একটি জিনিস মাথায় ছিল, তারা সেট-পিসে খুব ভালো। আমরা সেটা মাথায় রেখেছিলাম। তাছাড়াও সাধারণভাবে, আমরা খেলার উপর নিয়ন্ত্রণ রেখেছিলাম। দুটো কাউন্টার অ্যাটাকে গোল করেছি, যা হয়তো আমরাও আশা করিনি। আমি যদি সামনের খেলাগুলোর দিকে তাকাই, সেগুলো বেশ কঠিন। তাছাড়া এটা একটা কঠিন মৌসুম হবে। আমাদের জন্য সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।’
চলতি মৌসুমের শুরুতে ইয়র্গেন ক্লপের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর থেকে আর্নে স্লট একটা দুর্দান্ত শুরু করেছেন। জন গ্রেগরি, গুস হিডিঙ্ক এবং কার্লো আনচেলত্তির পর চতুর্থ ম্যানেজার হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ১১ ম্যাচের মধ্যে ৯টিতেই জয় পেয়েছেন তিনি।
লিগে এখন লিভারপুলের ২৮ পয়েন্ট। এর আগে ২০১৯-২০ এর শিরোপাজয়ী মৌসুমেও ১১টি ম্যাচ খেলার পর তাদের পয়েন্ট ছিলো ২৮। পাশাপাশি তাদের কোনো ম্যানেজার প্রথম ১১টি গেম থেকে আর্নে স্লটের চেয়ে বেশি পয়েন্ট জেতেননি। ডাচম্যান ফলাফল নিয়ে চিন্তিত নন। তবে নিজস্ব দর্শনের উপর ফুল ফোকাস রেখে তিনি অ্যানফিল্ডে থিতু হতে চান।
তিনি ‘বিবিসি ম্যাচ অফ দ্য ডে’তে বলেছেন—‘একজন ম্যানেজার হিসাবে আপনি যদি একটা নতুন ক্লাবে আসেন, আপনি কতগুলো ম্যাচ খেলার পর কত পয়েন্ট অর্জন করলেন তা নিয়ে ভাববেন না। আপনি খেলার ধরন পরিবর্তন করার বা এটা যেমন ছিল তেমন রাখার বিষয়েই চিন্তা করবেন। খেলোয়াড়দের খেলার শৈলী পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে প্রশিক্ষণের মাঠে এবং মিটিংয়ে অনেক কিছু করতে হবে। আমি শুধু চিন্তা করেছি কিভাবে আমার খেলার ধরনটাকে বাস্তবায়ন করা যায় এবং কিভাবে খেলোয়াড়রা তাদের সাধ্যমতো কঠোর পরিশ্রম করতে পারে, তা নিশ্চিত করা যায়।’