গতকাল ১০ই নভেম্বর রোববার বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, গেল অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪.১৩ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ২০.৬৫ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ৩.৪২ বিলিয়ন ডলার।
ইপিবির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) মোট রপ্তানি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৭৮ বিলিয়ন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৪.২৪ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক খাতে উল্লেখযোগ্য সমৃদ্ধি
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের বড় অংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে, যার আয় জুলাই-অক্টোবরে ১১.৩৮ শতাংশ বেড়ে ১২.৮১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওভেন পণ্য থেকে আয় ১০.৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫.৬০ বিলিয়ন ডলার এবং নিটওয়্যার পণ্য থেকে আয় ১২.০৮ শতাংশ বেড়ে ৭.২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
এছাড়া গেল অক্টোবর মাসে পোশাক খাত একাই আয় করেছে ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ২২.৮ শতাংশ বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকালীন পোশাকের শেষ চালান হিসেবে অক্টোবর মাসে বড় আকারে পণ্য প্রেরণ করা হয়েছে। তবে তৈরি পোশাক খাতে সাম্প্রতিককালে অস্থিরতা বিরাজমান থাকায় স্থায়ী প্রবৃদ্ধি নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।
অন্য খাতগুলোর অবস্থান
পোশাকের বাইরে কৃষি খাতে অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয় ছিল ১১৩ মিলিয়ন ডলার। এতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৯৫ শতাংশ। সেই সাথে প্লাস্টিক পণ্য থেকেও ৩০ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৫৪.২৬ শতাংশ বেশি। তবে ট্যানারি খাতে কিছুটা মন্দা দেখা দিয়েছে। এ খাতের রপ্তানি আয় ১ শতাংশ কমে ৮৩ মিলিয়ন ডলারে নেমেছে। তাছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ও ৭.৬৩ শতাংশ কমে ৭৯ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ব্যবসায়ীরা যা বলছেন
এদিকে আয়ের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে খাতগুলোতে স্থায়ী নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এবং বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা যেন পুনরুদ্ধার করা যায়, সে জন্য সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন তারা।
ডেস্ক রিপোর্ট
- ডেস্ক রিপোর্ট#molongui-disabled-link
- ডেস্ক রিপোর্ট#molongui-disabled-link
- ডেস্ক রিপোর্ট#molongui-disabled-link
- ডেস্ক রিপোর্ট#molongui-disabled-link