নিউজনেস্ট

সাইকেলে এভারেস্ট অভিযানে তাম্মাত, মাঝপথে পড়েছেন বিপাকে

সাইকেলে এভারেস্ট অভিযানে তাম্মাত, মাঝপথে পড়েছেন বিপাকে
তাম্মাতের পিকে পিক সামিটের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

সাইকেল চালিয়ে এভারেস্ট বেসক্যাম্প যাওয়া কি চাট্টিখানি কথা? বিশ্বের খুব কম সাইক্লিস্টই এই দুঃসাহস দেখিয়েছে। বাংলাদেশের কেউ তো কখনোই সাহস করেনি। বলা হয়, বাঙালিরা নাকি ভীতু! সেই কলঙ্ক মুছতেই এগিয়ে এসেছেন এক তরুণ সাইক্লিস্ট। তাম্মাত বিল খয়ের।

সম্প্রতি অন্নপূর্ণা বেসক্যাম্প ট্রেকিং শেষ করে আবারও বেরিয়ে পড়েছেন তাম্মাত। লক্ষ্যটা এবার অনেক উঁচুতে, এভারেস্ট বেসক্যাম্প। ৫৩৬৪ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এভারেস্ট বেসক্যাম্পে তিনি যাবেন সাইকেল চালিয়ে। কাঠমান্ডু থেকে যাত্রা শুরু করেছেন আজ প্রায় ১৪ দিন হতে চললো। এই সময়ে তার একমাত্র অর্জন প্রথম বাংলাদেশি সাইক্লিস্ট হিসেবে পিকে পিক (Pikey Peak) সামিট।

অভিযানের এই পর্যায়ে এসে এক অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে ভীষণ বিপাকে পড়ে যান তাম্মাত। আজ নিজস্ব ফেসবুক পেইজে একটি ভিডিওবার্তায় তাম্মাত জানান, ‘রীতিমতো বিপদে পড়ে এই ভিডিওটা করা। আমি জানি না, সবাই ভিডিওটা কিভাবে নিবে। হয়তো অনেকেই অনেকভাবে চিন্তা করবে।

গত ১৪ দিন সাইক্লিং করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে আমি পিকে পিক সামিট করে তারপর আমি এখন মানজোতে আছি। এখানে আসার পর যেটা জানতে পারলাম সাগরমাথা ন্যাশনাল পার্কের রুলস প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর পরিবর্তন হয়। এই মুহূর্তে যদি আমাকে সাইকেলের পারমিট নিতে হয় আলাদাভাবে, তাহলে তার জন্য আমাকে গাইড দেখাতে হবে। আর সেটা করতে গেলে ২০ দিনে গাইডের খরচ হিসেবে আমাকে গুণতে হবে প্রায় ৬০-৭০ হাজার রুপি। যা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

আরেকটা উপায় আছে, তা হলো এজেন্সির মাধ্যমে পারমিট নেওয়া। সেক্ষেত্রেও প্রায় ২২-২৫ হাজার রুপি গুণতে হবে আমাকে। আসলে আমার এই অভিযানে আমি ফুল স্পন্সরশিপ পাইনি। ফান্ডিং, ধার এবং স্পন্সর মিলিয়েই আমি এখানে এসেছি। এই সফর শেষ করতে আমার আরও ৬০ হাজার টাকা লাগবে। এখন আবারও হুট করে ২৫ হাজার টাকার একটা ধাক্কা আমাকে বেশ বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। আমি এবং আমার ফ্রেন্ডরা মিলে বিভিন্নভাবে ফান্ডিং ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তেমন সাড়া পাইনি।

এখন আমি জানি না, কীভাবে কী করবো। এ মুহূর্তে আমি মানজোতে আটকে আছি। খুব সম্ভবত আজকে আমাকে এখানেই থেকে যেতে হবে। মানজো ক্রস করতে হলে আমাকে পারমিট দেখাতে হবে। ব্যাপারগুলো নিয়ে শারীরিক এবং মানসিকভাবে খুবই প্রেসারে আছি। এত কষ্ট করার পরেও আসলে এ ধরনের প্রেসার নেওয়াটা খুবই পীড়াদায়ক। আমি আসলেই জানি না কীভাবে কী করবো। আপনারা সবাই একটু দোয়া করবেন। আশা করি আল্লাহ সবকিছু ঠিক করে দিবেন।’

ডেস্ক রিপোর্ট
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত