নিউজনেস্ট

গাজায় আগ্রাসন বন্ধের প্রচেষ্টায় আরবে অনুষ্ঠিত আরব-ইসলামিক সামিট

গাজায় আগ্রাসন বন্ধের প্রচেষ্টায় আরবে অনুষ্ঠিত আরব-ইসলামিক সামিট
আরবে অনুষ্ঠিত আরব-ইসলামিক সামিটে মুসলিম বিশ্বের নেতারা। ছবি: দ্য মিডল ইস্ট

ফিলিস্তিন লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের লক্ষ্যে সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত হয়েছে আরব ইসলামিক সামিট। মূলত ২০২৩ সালের ১১ই নভেম্বরে সকল মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যকার একটি যৌথ সম্মেলনের আরও বৃহৎ আকার ছিল এবারের আরব ইসলামিক সামিট।

এতে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দিয়ে সৌদি বাদশাহ সালমান আব্দুল আজিজের আহ্বানে একত্রিত হন মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দরা। সম্মেলনে সভাপতির পদ গ্রহণ করেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বের সকল মুসলিম নেতৃবৃন্দ গাজা লেবাননে ইসরায়েলর সকল মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান। সেই সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও লেবাননের সার্বভৌমত্বের পক্ষে জোড়ালো বক্তব্য রাখেন।        

মোহাম্মদ বিন সালমান

সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘সৌদি রাজতন্ত্র ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানায় এবং এমন আগ্রাসনকে প্রত্যাখ্যান করে। সৌদি রাজতন্ত্র ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন করে।’

রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান

সম্মেলনে উপস্থিত তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। আমরা জাতিসংঘে ইসরায়েলের সদস্যপদ স্থগিত করার দাবী জানাই। এছাড়া আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘণের কারণে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে বিশ্বের দেশগুলোকে ভাবতে হবে।

আবদুল ফাত্তাহ সিসি

এদিকে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ সিসি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত হল; একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। এ কারণে মিশর ফিলিস্তিন সঙ্কটকে আড়াল করার যেকোন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। মধ্যপ্রাচ্যের একটি কৌশলগত অঞ্চল হিসেবে মিশর শান্তিই বজায় রাখতে চায়। মিশর মনে করে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বে শান্তি স্থাপনের এখনো সুযোগ আছে।

শাভকাত মির্জিয়েভ   

সম্মেলনে উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিয়েভও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তির ভারসাম্যহীনতা উদ্বেগজনক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে গাজাসহ সব অঞ্চলে সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মনোযোগ দেওয়া।                                       

বাশার আল আসাদ

সম্মেলনে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, একটি বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা ছাড়া আমরাও এই ফিলিস্তিনের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকব। আমি আশা করি, আমরা এই সম্মেলনে ভাল সিদ্ধান্ত নিতে পারব এবং লেবানন ও গাজায় ইসরায়েলের আর কোন অপরাধের ব্যাপারে আমরা নিরব থাকব না।

আরব লীগের মহাসচিব আহমাদ আবুল গীত

তিনি বলেন, আমরা ইরান ও লেবাননের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানাই। মধ্যপ্রাচ্যের এসব অঞ্চলে এখনই যুদ্ধবিরতি হওয়া দরকার।

নাজিব মিকাতি

সম্মেলনে লেবাননের তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, আমি লেবাননকে সমর্থন এবং জরুরী সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই। এবং গাজায় যুদ্ধ বিরতি ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে শান্তি স্থাপনের জন্য আবারো বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে আহ্বান জানাই।

মাহমুদ আব্বাস

সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েলের হামলা এখনও অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘের কাছে ইসরায়েলের সদস্যপদ স্থগিত করার দাবি জানাই। কারণ, ইসরায়েল আন্তর্জাতক আইনের বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘণের জন্য বিশ্বের দেশগুলোকে ইসরায়েলের সাথে তাদের সম্পর্ক নিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে।

ডেস্ক রিপোর্ট
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত