মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে সামরিক জান্তার চালানো সাম্প্রতিক বিমান হামলায় সাতজন বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া এই হামলার ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
মূলত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে ক্রমাগত উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা থেকেই হামলার সূত্রপাত হয়। সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি দাবি করে, তারা রাখাইন অঞ্চলের চারটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে। এর মধ্যে একটি শহরে জান্তার আটটি ঘাঁটি, সামরিক হাসপাতাল ও অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়েছে বলে বিদ্রোহীরা জানিয়েছে। বাকি তিনটি শহরও চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে তারা।
তবে বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করতে সামনাসামনি সংঘর্ষে না গিয়ে অতর্কিত বিমান হামলার কৌশল অবলম্বন করছে জান্তা বাহিনী। কিন্তু এসব হামলায় প্রাণহানির শিকার হচ্ছেন নিরীহ বেসামরিক মানুষ। এর মধ্যে এন এবং তাউংগুপে শহরে প্রতিরক্ষার কাজে জোরপূর্বক ৬০০ রোহিঙ্গাকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
রাখাইন ছাড়াও মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে জান্তা সরকারের হামলা জোরদার হয়েছে। বিশেষ করে সাগাইং অঞ্চলের পেল শহরে সাম্প্রতিক হামলার কারণে হাজারো মানুষকে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হতে হয়েছে। এছাড়া বিদ্রোহী সংগঠন বার্মা ন্যাশনাল রেভল্যুশন আর্মি কর্তৃক সাগাইংয়ের প্রশাসনিক কার্যালয় ও পুলিশ স্টেশনে হামলার পর পাল্টা অভিযান চালিয়েছে জান্তা বাহিনী।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জান্তা সরকারের সংঘাত ক্রমেই বিস্তৃত আকার ধারণ করছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক#molongui-disabled-link