নিউজনেস্ট

প্রতিবেশীদের স্বার্থে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে “আউট অব দ্য বক্স” চিন্তার তাগিদ
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের শরণার্থী শিবির, কক্সবাজার। ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর নিজস্ব স্বার্থে নির্লিপ্ত ভূমিকার কারণে এই সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৪’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এই সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ভারত, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

বঙ্গোপসাগর ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও অত্যন্ত কৌশলগত এলাকা। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রবেশের জন্য রাখাইনের কালাদান প্রকল্প ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে মিয়ানমার চীনের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত আট বছরে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ তার বড় প্রতিবেশীদের প্রত্যাশিত সহযোগিতা পায়নি। বলতে গেলে নিজেদের স্বার্থের কারণেই তারা এই সংকট সমাধানে তেমন ভূমিকা রাখেনি।’

সংকটের বৈশ্বিক প্রভাব

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট কেবল বাংলাদেশের জন্যই বোঝা নয়, বরং এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও বড় একটা হুমকি। সংকট সমাধান না হলে এর প্রভাব বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।’

তিনি আরও জানান, সংকট সমাধানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক মহল থেকে তেমন কার্যকর সমাধানের আশা করা যাচ্ছে না। ফলে শিগগিরই এ সংকটের সমাধান হবে বলে তেমন কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকায় মানুষের উচ্চ প্রত্যাশা থাকলেও ধৈর্যের অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পরিবর্তনে সময় লাগে। রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য বিষয়ে সমাধান পেতে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’

সম্মেলনে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে তাদের মতামত প্রকাশ করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আঞ্চলিক সমঝোতা এবং বৃহৎ শক্তিগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সংকটের সমাধান অসম্ভব।

ডেস্ক রিপোর্ট
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত