নিউজনেস্ট

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কেমন প্রভাব ফেলবে ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতি

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কেমন প্রভাব ফেলবে ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতি?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতি। ইতোমধ্যেই জাতিসংঘে মার্কিন প্রতিনিধির নিয়োগ থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সমাধান এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে তার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ আলোচনায়  এসেছে।

জাতিসংঘে নতুন মার্কিন প্রতিনিধি

ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে জাতিসংঘে মার্কিন প্রতিনিধির দায়িত্বে থাকবেন জাতিসংঘের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ইলিস স্টেফানিক। এর আগে তিনি ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানের অভিযোগ তুলে জাতিসংঘকে ইহুদিবিদ্বেষী আখ্যা দিয়েছিলেন। ফলে এমন নিয়োগ স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের প্রতি আরও জোরালো সমর্থন দিবে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তার সঙ্গে তিনবার কথা হয়েছে এবং তারা  ইরানকে বড় হুমকি মনে করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।

তবে ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতে কী ভূমিকা নেবে এই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ, ট্রাম্প যদিও গাজায় নেতানিয়াহুর পূর্ণ বিজয়ের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেন, কিন্তু ট্রাম্প একই সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতিকেও প্রয়োজনীয় মনে করেন।

এ ব্যাপারে বিশ্লেষকদের মতামত হল, ট্রাম্পের নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ইসরায়েলের কঠোর নীতিকে সমর্থন করবেন এবং হামাসের আত্মসমর্পণ নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগ দেবেন। তবে ইসরায়েলের ওপর তারা কোনো চাপ সৃষ্টি করবে না।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান নিয়ে অস্পষ্টতা

এদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সক্ষম। কিন্তু তার এই পরিকল্পনার বিস্তারিত এখনো অজানা।

ওয়াশিংটন পোস্ট-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধের মাত্রা না বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কেন্দ্র এবং প্রেসিডেন্টের সরকারি কার্যালয় ক্রেমলিন এই দাবি অস্বীকার করেছে।

অন্যদিকে ইলন মাস্কের সঙ্গে মিলে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। তাই এই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ সত্যিকারার্থেই ধোঁয়াশাপূর্ণ হয়ে উঠছে।

সম্ভাব্য পরিণতি

মোটকথা, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একদিকে সমর্থন আর অন্যদিকে বিতর্ক তৈরি করছে। ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে পারে। তবে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তগুলো কেবল ইসরায়েলকেন্দ্রিক নীতিতে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি বৃহত্তর শান্তি উদ্যোগে ভূমিকা রাখবে, তা সময়ই বলে দেবে। সেই সাথে ইউরোপীয় সংঘাতের সমাধানে ট্রাম্পের উদ্যোগগুলো কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়েও কিন্তু সংশয় থেকে যাচ্ছে।

সূত্র: আমাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত