ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১৭ দিনে ডেঙ্গুতে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে এই সংখ্যা ছিল ১৩৫। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৪১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৯,৯৮৪ জন। এর মধ্যে অক্টোবর মাসেই হাসপাতালে ভর্তি হন ৩০,৮৭৯ জন, যা এ বছরের মাসভিত্তিক ভর্তির তালিকায় সর্বোচ্চ। তবে নভেম্বর মাসে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮,১৬৭ জনে।
এদিকে বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সী ব্যক্তিরা ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এই বয়সী রোগীর সংখ্যা ১২,১৭৮। তবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী রোগীদের মধ্যে। এই বয়সসীমায় ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রভাব সবচেয়ে বেশি–
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি):
এখানে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে, যাদের সংখ্যা ১৭,০৫৮।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি):
এ এলাকায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৪,৪৮৬। তবে মৃত্যু বেশি ঘটেছে এই এলাকাতেই। ডিএসসিসি এলাকায় ডেঙ্গুতে ১৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ। অন্যদিকে, ডিএনসিসি এলাকায় মৃত্যুর সংখ্যা ৬৯।
ডেঙ্গুতে বাড়তি সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। তারা বলছেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করা এবং দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে ব্যক্তিগতভাবে সতর্কতা, ঘরের আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মশারি ব্যবহার করতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।