অক্টোবর ২০২৩ থেকে আরাকানের ভূমিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নেমে এসেছে মানব ইতিহাসের এক মর্মান্তিক অধ্যায়। বুথিডাউং, রাথিডাউংসহ সমগ্র আরাকান থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে হাজার হাজার পরিবার এখন বনজঙ্গলে অস্থায়ী আশ্রয়ে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে একটি দৃশ্য—একজন মা তার সন্তানদের নিয়ে জঙ্গলে তৈরি অস্থায়ী বিছানায় শুয়ে আছেন—এই নিষ্ঠুর বাস্তবতার প্রতীক।
এই মানবিক সংকটের মূলে রয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ), যারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে তীব্র সহিংসতা চালাচ্ছে। তোপের গোলাবর্ষণ, নির্মম সামরিক অভিযান এবং নিরবচ্ছিন্ন সহিংসতার কারণে এখন পর্যন্ত দুই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই নির্মমতার শিকার হয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে।তবে এই ঘটনা শুধু পরিসংখ্যানে সীমাবদ্ধ নয়; এগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়া পরিবার, হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন এবং অগণিত কষ্টের গল্প। প্রতিটি সংখ্যার পেছনে আছে অগণিত চোখের জল, বুক ভরা আর্তনাদ, এবং জীবনের জন্য অসহায় যুদ্ধ।
বিশ্ব যদি এই গণহত্যার বিরুদ্ধে নীরব থাকে, তবে এই সংকট আরও তীব্র হবে। মানবতার ওপর তার নীরবতার বোঝা বেড়েই চলবে। তাই সময় এসেছে বিশ্ব সম্প্রদায়ের এই সঙ্কটের প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার এবং এই নির্মমতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার।