ভারতের কট্টর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক বক্তৃতায় বলেছেন, ‘সংবিধানে ওয়াকফ আইনের কোনো জায়গা নেই’। মোদীর এই বক্তব্য ধর্মীয় ট্রাস্টগুলো নিয়ে সারা দেশে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
বিজেপি সদর দপ্তরে বক্তৃতা করতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণকারী আইনটি ভারতীয় সংবিধানের সমতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
শনিবার কংগ্রেসকে তোষণের রাজনীতির জন্য অভিযুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, সংবিধানে ওয়াকফ আইনের কোনো স্থান নেই।’
শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করবে। কিন্তু এর পূর্বেই এই মন্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, কংগ্রেস ‘আসল ধর্মনিরপেক্ষতাকে’ ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে।
মোদীর অভিযোগ, ওয়াকফ আইন একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে এবং তা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘সংবিধান আইনের সামনে সমতার গ্যারান্টি দেয়। কিন্তু কিভাবে এই সমতা সম্ভব, যদি একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা আইন থাকে?’ তিনি এই ব্যবস্থা সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই ধরনের আইন ঐক্যের পরিবর্তে বিভেদ তৈরি করে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করে বলেন, ‘কংগ্রেস তোষণের রাজনীতি চালু করতে আইন প্রণয়ন করেছে। ওয়াকফ বোর্ড তার একটি উদাহরণ। সংবিধানে ওয়াকফ আইনের কোনো স্থান নেই। কিন্তু কংগ্রেস ভোটব্যাংক বাড়ানোর জন্যই মূলত এটা সমর্থন করেছে।’
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের খারাপ ফলাফল উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের মানুষ নেতিবাচক ও বংশানুক্রমিক রাজনীতিকে পরাজিত করেছে এবং ন্যায়ের শাসনকে আরেকটি সুযোগ দিয়েছে।’
সূত্র : মুসলিম মিরর