রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে এই হামলা চালায়।
হামলার সময় কলেজের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় বেলা ১টা পর্যন্ত দুই পক্ষের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলতে দেখা যায়।
গতকাল রবিবার ভুল চিকিৎসায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আজ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মোল্লা কলেজে হামলা চালায়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী, বিজয় আহমেদ, বলেন, “গতকাল আমাদের কলেজে ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ আমরা এর প্রতিশোধ নিতে এসেছি। মোল্লা কলেজে যা পেয়েছি, তা নিয়ে চলে এসেছি।”
ঘটনাস্থলে শুরুতে হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে দেখা যায়নি। তবে কিছুক্ষণ পর মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষের কারণে যাত্রাবাড়ী এলাকার প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা তৎপর রয়েছেন। পুলিশের ওয়ারী অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার মফিজুল ইসলাম বলেন, “পরিস্থিতি উত্তপ্ত। বর্তমানে কথা বলার মতো অবস্থানে নেই।”
এই সংঘর্ষের জেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।