নিউজনেস্ট

গাজার দুই মিলিয়ন শরণার্থী ক্ষুধা, তৃষ্ণা ও রোগে জর্জরিত

গাজার দুই মিলিয়ন শরণার্থী ক্ষুধা, তৃষ্ণা ও রোগে জর্জরিত। ছবি : রয়টার্স

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা (ওনারওয়া) সতর্ক করেছে গাজা উপত্যকায় দুই মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী চরম মানবিক সংকটে দিন কাটাচ্ছে। তাদের জীবন বিষাদময় করে তুলেছে ক্ষুধা, তৃষ্ণা এবং নানাবিধ রোগ। খাদ্যের অভাব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রতিদিনের খাবার জোগাড় করাও এখন গাজার পরিবারগুলোর জন্য অসম্ভব এক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ওনারওয়া জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েল সীমান্ত দিয়ে যে সামান্য পরিমাণে ময়দা ও খাদ্যসামগ্রী প্রবেশ করতে দিচ্ছে, তা গাজার জনসংখ্যার চাহিদার মাত্র ৬ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম।

এছাড়াও, গাজায় চলমান অবরোধের কারণে পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ গাজার অধিকাংশ বেকারি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে রুটি সংগ্রহ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

গাজার শরণার্থী শিবির এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বসবাসরত মানুষেরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে। খাদ্যের অভাব, তীব্র ঠান্ডা এবং মৌলিক চাহিদা পূরণে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অক্ষমতা তাদের অবস্থাকে আরও শোচনীয় করে তুলেছে।

ওনারওয়া অবিলম্বে সীমান্তগুলো পুরোপুরি খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে, যা ক্ষুধা কমানো এবং অপুষ্টি ও রোগের প্রকোপ কমাতে সহায়ক হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে মার্কিন সমর্থনে ইসরায়েল গাজায় যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তাতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও নারী। এছাড়াও, ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।

এই পরিস্থিতি গাজায় এক নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের গণহত্যা বন্ধের আহ্বান এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ইসরায়েল তাদের নৃশংস কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
+ posts

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত